পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্রসৈকত।
ঘূর্ণিঝড় শঙ্কায় কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে পর্যটকরা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রায়ই অধিকাংশ পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন, বাকিরা বুধবার (২৫ অক্টোবর) চলে যাবে বলে ধারণা করছে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ।
কলাপাড়া উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পটুয়াখালী জেলায় আসার শঙ্কা রয়েছে। এটি আরও উত্তর -পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। তাই সব সমুদ্রবন্দরে পাঁচ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবাসিক হোটেল সি গোল্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলআমিন মুসল্লি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে। আবহাওয়া এমন থাকলে এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে না।
পর্যটক মো. রিসাল বলেন, কুয়াকাটায় দুই দিন থাকব বলে প্ল্যান ছিল পরে তা একদিন থেকেই চলে যাচ্ছি আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা সব সময় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে থাকি। তারা কোনোভাবেই যেন সমস্যায় না পরে সেভাবে স্পষ্ট করে ঘোষণা দেওয়া আছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা সদা প্রস্তুত থাকি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে৷ মঙ্গলবার থেকেই আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদের নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদ সভা করে সব প্রস্তুতি নিয়েছি। সব লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি। প্রয়োজনে কুয়াকাটার হোটেল মোটেল গুলোও আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এএটি