ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

চারদিনে ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে ৮ ডিগ্রির বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
চারদিনে ঢাকার তাপমাত্রা কমেছে ৮ ডিগ্রির বেশি

ঢাকা: তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও ব্যাপ্তি কমে এসেছে। এপ্রিলে অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও বর্তমানে কেবল তিন জেলার ওপর দিয়ে তা বয়ে যাচ্ছে, যা কেটেও যেতে পারে আগামী এক দিনে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পরের দিন যা কমে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রোববার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সোমবার (০৬ মে) নেমে আসে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এদিকে, ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কাছাকাছি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ার চেয়ে দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

অন্যদিকে, একদিনের ব্যবধানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও প্রায় তিন ডিগ্রি কমে গিয়ে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা আগের দিন ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। পুরো এপ্রিল জুড়ে তীব্র, কখনও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

গত ৩০ এপ্রিলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২৯ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় ১৯৬৫ সালে থার্মোমিটারের পারদ ওঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী তিনদিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হবে।

গোপালগঞ্জ, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

বুধবার (০৮ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হবে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।