লক্ষ্মীপুর: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট থেকে ভোলা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী দেড় শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে লঞ্চঘাটে।
চট্টগ্রাম এবং ফেনী জেলা থেকে আসছেন তারা। এদের মধ্যে কেউ কেউ শনিবার (২৫ মে) রাতেই ঘাটে এসে আটকা পড়েন। অন্যরা রোববার (২৬ মে) সকালে এসেছেন। ঘাটে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটকা পড়াদের জন্য পাশের একটি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে রোববার দুপুর পর্যন্ত আটকা পড়াদের কেউ সেখানে যাননি।
সালেহা বেগম নামে আটকা পড়া এক নারী জানান, তারা চট্টগ্রাম থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে এসেছেন। এসে দেখেন লঞ্চ বন্ধ। এখন ঘাটে অপেক্ষা করছেন।
ইয়াকুব নামের আরেকজন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে, এটা জানতে পারিনি। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ভোলার লালমোহন উপজেলাতে যাবার জন্য মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে আসি। এখন ঘাটে এসে আটকা পড়েছি।
চট্টগ্রাম থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে আসা আশিক নামে আরেকজন বলেন, শনিবার ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। এদিন ঘাটে ছিলাম। লঞ্চে রাত কাটিয়েছি। রোববার সারাদিনও ঘাটে বসে আছি। কখন বাড়ি যেতে পারব, তার নিশ্চয়তা নেই।
মজুচৌধুরীর হাট নৌপুলিশের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে আমরা সতর্কতামূলক মাইকিং করেছি। নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে নৌযান চলাচল শুরু হবে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে অনেক যাত্রী আটকা পড়েছে বলে জানান তিনি।
চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বাংলানিউজকে বলেন, ইউএনও নির্দেশে আটকা পড়াদের জন্য পাশের একটি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে খাবারেরও ব্যবস্থা রাখা হবে। কিন্তু আটকা পড়া লোকজন সেখানে না গিয়ে ঘাটে বসে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসআরএস