ঢাকা: উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ফিকে হয়ে যেতে পারে ঈদ আনন্দ। কেননা, দুই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বাড়ছে। অপরদিকে, যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী তিনদিনে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বাড়তে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা সোমবার (১৭ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ইতোমধ্যে সুরমার পানি কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল বাড়ছে, যা আগামী মঙ্গলবার (১৮ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, আগামী তিনদিনে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, ঝালুখালী নদীসমূহের পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে সিলেট,
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, আগামী তিনদিনে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতলও সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, জাফলংয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, উজানে আসামের চেরাপুঞ্জিতে ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দেশে ও দেশের বাইরে বৃষ্টিপাত বাড়ায় শনিবার পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ১১০টি স্টেশনের মধ্যে ৫৬টিতে পানির সমতল বেড়েছে, কমেছে ৪৭টিতে। আর পানির সমতল অপরিবর্তিত আছে সাতটি স্টেশনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএ