কেরানীগঞ্জ, ঢাকা: প্রায় ৩২শ’ প্রজাতির পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাছের ছোট এক অরণ্যে পরিণত হয়েছে কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
উপজেলার অন্যতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন এক "সবুজ পাঠশালায়" পরিণত হয়েছে।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের চারপাশে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ফলদ, বনজ, ঔষধি, ফুল ও কাঠের গাছ ছাড়াও রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির বেশ কিছু গাছ। বিদ্যালয়ের বাগানে শোভা পাচ্ছে গোলাপ, জবা, রঙ্গন, চামেলি, বেলিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ। প্রায় প্রতিটি গাছেই লাগানো রয়েছে নেম ট্যাগ।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের বাগান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নয় সদস্যের গ্রিন ক্লাব গঠন করা হয়েছে। ক্লাবের আহ্বায়ক বিদ্যালয়টির শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ মজুমদার ও সদস্য সচিব শিক্ষিকা করবী দাশ।
বিদ্যালয়ের আঙিনায় বৃক্ষ রোপণের জন্য এ বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টি বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর হাত থেকে বৃক্ষায়নে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গ্রিন ক্লাবের আহ্বায়ক হরেন্দ্রনাথ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৩২শ’ প্রজাতির পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাছ রয়েছে। এসব গাছের মধ্যে লজ্জাবতী, কালধুতরা, কালমেঘ, ঘৃতকুমারী, বাসক, অর্জুন, চিরতা, ফনিমনসা, অর্কিড ও সাদা জবাসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির গাছ রয়েছে। ফল গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, নারিকেল, চালতা, কাঁঠাল ও লিচু।
এ ব্যাপারে শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে জমির পরিমাণ প্রায় ৩১৩ শতাংশ। আমি যখন এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি তখনও বিদ্যালয়ে গাছ ছিল, তবে এখনকার মতো এতো নয়। পরে আমি একটি গ্রিন ক্লাব করে ক্লাবের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপণ শুরু করি। গাছের গায়ে নেম ট্যাগ লাগানোর কারণে শিশুরা সহজেই গাছের নাম জানতে পারছে। গ্রিন ক্লাবের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিটি গাছের উপকারিতা বর্ণনা করে থাকেন।
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রচুর ঔষধি গাছ থাকায় প্রায়ই এলাকার লোকজন এসে গাছের ছাল ও ফল নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
এসআই