ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পরিবেশ উন্নয়নে যা দরকার সবই করা হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
পরিবেশ উন্নয়নে যা দরকার সবই করা হবে ‘ঢাকার জলাভূমির অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ দূষণ রোধে যথেষ্ট আইন আছে, সেই আইন ব্যবহার করে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এস কথা বলেন।

বিশ্ব জলবায়ু দিবস উপলক্ষে ‘ঢাকার জলাভূমির অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অফ আইইউসিএন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অফ আইইউসিএন’র চেয়ারপারসন হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ।

বনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একটা সিস্টেম চালু হয়ে গেছে কেউ অবৈধভাবে জলাভূমি দখল করে বড় ধরনের ভবন নির্মাণ করলে আর সেটা ভাঙা যায় না। এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। অবৈধভাবে নির্মিত ২-১টি বড় ভবন ভাঙলেই আর কেউ এভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ করার সাহস পাবে না’।

তিনি বলেন, ‘৩৪ বছর আগে যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট শব্দটি জানতাম না। তখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যা কিছু করার দরকার তাই করতাম। সেসময় এটা নিয়ে ভাবা হয়নি যে আমরা যা করছি তাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কোনো ক্ষতি হবে কি না’।

ঢাকায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ বসবাস করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশের সামগ্রীক জনসংখ্যার চেয়েও এটা বেশি। এ শহরে এক ‍টুকরা জমি কেনার ইচ্ছা সবারই আছে। কিন্তু জমি কোথা থেকে আসবে? এ শহর পরিচালনা করাটা খুবই কঠিন। এই বাস্তবতাও আমাদের দেখতে হবে। কোনো কিছু বললেই হয়ে যাবে না। এজন্য সময় নিতে হবে। জার্মানির রাইন নদীর দূষণ রোধ করে এখন সেখানের পানি পান করা যাচ্ছে, এমন কথাও এখানে এসেছে। তবে সেটা একদিনে হয়নি’।

ইটাভাটার আইন বেশি কঠিন হয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, ‘এমন আইন করা হয়েছে তাতে এখন কাউকে লাইসেন্সই দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে সব ইটাভাটা এখন অবৈধ। সঠিক আইন মেনে কেউ কাজ করতে পারছে না। এসব দিক বিবেচনা করে বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সেন্টার অফ ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ’র নির্বাহী পরিচালক ড. এম মোখলেসুর রহমান, ন্যাচারাল কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট’র চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রব মোল্লা, জীবন বিকাশ কার্যক্রমের উপ-নির্বাহী পরিচালক মির্জা শামীম আহসান হাবিব, আইউসিএন বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হাসিব এমডি ইরফানুল্লাহ, আইইউসিএন মেম্বার রিফ্রেসমেন্ট ড. নীলুফার বানু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।