বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতেরর বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সোমবার নাগাদ ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও বরাক অববাহিকায় এই সময়ে ভারী বর্ষণ হবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি যেভাবে বাড়ছে তা অব্যাহত থাকবে সোমবারও।
সীমান্তের ওপারে পাহাড়ে অতিবর্ষণের কারণে আগাম বন্যায় প্লাবিত হয় হাওর অঞ্চল। এবারও সেই পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে স্থানীয়রা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
দেশের করোনার প্রকোপের মধ্যে হাওরের ধান কাটার শ্রমিকের শঙ্কট। সরকারের সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে শ্রমিকের যোগান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতি বিগড়ে গেলে সেই যোগানে কোনো ফল নাও আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
কিশোরগঞ্জের লোকমান হোসেন নামের এক কৃষক জানান, দুই বছর আগে হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবারের বৃষ্টিপাতের ধরণও বেশি। ধান কাটার লোক তেমন পাওয়া যায় না। এই অবস্থায় বন্যা হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
পাউবোর দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের সব নদ-নদীর পানিই বাড়ছে। তবে বেশি বাড়ছে উত্তর ও উত্তারঞ্চলের নদ-নদীর পানি। আবার এসবের মধ্যে মানু, ভোগাই, কংস, খোয়াই, পিয়াইন ও সোমেশ্বরী নদীর পানি খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। বিপদসীমার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে এসব নদীর পানি। বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, মেঘনা, গোমতী, পুরাতন সুরমা নদীর পানিও।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯ স্টেশনের মধ্যে ৩৩টিতে পানি বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে দু’টি পয়েন্টের পানি।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা নাগাদ দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে কোথাও ভূমি ধসের কোনো শঙ্কা নেই।
আর যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
ইইউডি/এসআইএস