মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
এক্ষেত্রে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তবে ভারী বর্ষণের কোনো সতর্কতা নেই। নেই কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কবার্তাও।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, অধিকাংশ নদ-নদীর পানি কয়েকদিনের তুলনায় কমতে শুরু করেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া এক পূর্বাভাসে জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ নদীর পানির সমতল স্থিতাবস্থায় আছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, আসাম এবং বরাক উপতক্যায় উল্লেখযোগ্য বর্ষণের আভাস নেই। তাই প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতাবস্থায় থাকবে।
পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে ১৬টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ২২টিতে। আর অপরিবর্তিত আছে একটি স্টেশনের পানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
ইইউডি/এএ