যতদিন গড়াচ্ছে তাপমাত্রা ততই যেন বাড়ছে। দিনে লু হাওয়া, রাতে গোমট গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে সবার।
বৈশাখ শেষে লাফিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। গত চারদিন থেকে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রমজান মাসের মধ্যে এসে তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষজন। এর সঙ্গে শুরু হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং।
একদিকে রমজান মাস চলছে। এর ওপর চলছে ভয়াবহ করোনাকাল। করোনা পরিস্থিতিতেও অতি দরিদ্র মানুষ লকাউনের মধ্যে রাস্তায় বের হচ্ছেন। তারা শিকার হচ্ছেন এ তাপপ্রবাহের। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একই মাত্রাই তাপ নামছে। রাতে বাতাস না থাকায় ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ-প্রকৃতি।
রোববার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৬ মে) বিকেলে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার (১৫ মে) রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১৩ মে) ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে তীব্র তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে বলা হয় মৃদু তাপদাহ। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির ভেতর তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপদাহ। ফলে শনিবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলেও সেটি ৪০ ডিগ্রির ওপরে অনুভূত হচ্ছে। আরও কিছুদিন এ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাত ছাড়া তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নাই বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এসএস/ওএইচ/