মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর ১টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়।
শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক সংকেতে ভয়াবহ বার্তা পরিবেশন করায় উপকূলবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাটি, ছন ও টিনের ঘরের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা সব থেকে বেশি।
এদিকে দুপুর একটা পর্যন্ত শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলায় প্রায় ১ হাজার ৫শ মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
কচুয়া উপজেলার রকি শেখ বলেন, ভোরে সূর্য দেখে ধান সিদ্ধ করেছিলাম। রোধের মধ্যেই দুপুরের দিকে বৃষ্টি শুরু হল। তড়িঘড়ি করে সব ধান ঘরে ওঠাতে পারিনি। কিছু ধান ভিজে গেছে। এছাড়াও অনেক কৃষক শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছিল মাঠে। এই বৃষ্টিতে মাঠে ধান কাটা কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, দুপুর থেকেই আমাদের এখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইছে। আমরা স্থানীয়দের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। সতর্কতামূলক মাইকিং চলছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। ৪১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সুবিধাজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে আমাদের মোট ৯৭৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সার্বিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৮৪ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
আরএ