বুধবার (২০ মে) সকালে তিনি এক জরুরি বার্তায় শেষবারের মতো সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানান। নতুবা আশ্রয়কেন্দ্র যেতে বাধ্য করার কথাও ওই বার্তায় উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে অপর এক বার্তায় তিনি পিরোজপুর জেলা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় জানিয়ে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার আহবান জানান।
এদিকে পিরোজপুরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মোজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, জেলার মোট ৫৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ জন নারী-পুরুষের আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনব্যাপী আম্পানের প্রভাবে ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পিরোজপুরে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয়ভাবে প্রচারণা চালালেও কোনো প্রচারণার তোয়াক্কা না করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কেউ আশ্রয় নেননি। কিন্তু মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকদের সংখ্যা আস্তে বাড়তে শুরু করে।
তিনি আরো জানান, আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজন হলে স্থানীয় সব সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার পাকা ভবন আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জেলার নাজিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমরা মাঠে রয়েছি। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থা পরিদর্শন করছি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানদের স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে জোর তাগিদ চলছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ের ঘূর্ণিঝড়ে পিরোজপুরে সাধারণ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা কম। তাছাড়া এবারে করোনার কারণেও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যা কম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
আরএ