বুধবার (২০ মে) রাত ১০টা থেকে প্রচণ্ড গতিতে আম্পান আঘাত হানে এ জেলায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের গতিবেগ ও বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে বোরো ধান, পানবরজ, ভুট্টাক্ষেত, আম ও কলাসহ উঠতি ফসলাদি বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এরমধ্যে জেলায় আম ও কলা প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এখনো ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, জেলায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮২ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৮ মিলিমিটার।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষতির পরিমাণ কম নয়। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। তবে জেলা প্রশাসন পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ায় ক্ষতি অনেকটা কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২০
এনটি