এই তাণ্ডবে রাজধানীর বেশকিছু এলাকাতে গাছ উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার দিক থেকে রাজধানীতে ঝড় শুরু হয়। এর কিছু সময় পর প্রবল ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতসহ মুষলধারে বৃষ্টিও। তবে মধ্যরাতের তুলনায় ভোরে বাতাস এবং বৃষ্টির তীব্রতা ছিল সবচেয়ে বেশি।
এসময় ঘণ্টায় ৭৮ থেকে ৮৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় বছরের সর্বোচ্চ শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়। আর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৬৩ মিলিমিটার। ভোরের দিকে মাত্র তিন ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৩৭ মিলিমিটার। চলতি বছরে এটিই সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
এদিকে, সড়কের পড়ে যাওয়া গাছপালা সরিয়ে নিতে সকাল থেকেই কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
বুধবার সারাদিনসহ আগামী দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ আবহাওয়া অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল হামিদ।
নদী বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এসএইচএস/টিএ