পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্য পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া এক সারসংক্ষেপে জানান, সুরমা ব্যতীত দেশের সব প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের বরাক ও ত্রিপুরা অববাহিকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরে দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর সংকেত। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী প্রভাবের কারণে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেটা আর দুই একদিন স্থায়ী থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঝড়, বৃষ্টির প্রবণতা কমে গিয়ে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি বাড়বে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেছেন, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বন্যার শঙ্কা নেই। কেননা, ভারতের আসাম, মেঘালয়, বরাক উপত্যকায় অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে না।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (২৯ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ৬৪ মিলিমিটার, যা আগের দিনের তুলনায় চার শতাংশের এক শতাংশ। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
ইইউডি/এএটি