আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বর্ষণ হবে। বৃষ্টিপাত কম হবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন, তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি। জলীয় বাষ্প এবং দালানের কারণে ঢাকায় একটু গরম অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু পরিবেশ ঠাণ্ডা রয়েছে। বৃষ্টিপাত একটু কমেছে। কয়েকদিনের মধ্যে এটা আবারও বাড়বে।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ হয়ে উত্তর-পূর্ব আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর একটি বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রীয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই মঙ্গলবার রাত নয়টা পর্যন্ত এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিমি থাকবে। বুধবার নাগাদ হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী পাঁচদিনে বৃষ্টিপাত বাড়বে।
সোমবার সারাদেশে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মাইজদীকোর্টে, ৪০ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি