ঢাকা: মৌসুমি বায়ু হিমালয় ও সাব-হিমালয় অঞ্চলে ছেঁয়ে যাওয়ায় ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে আগামী তিনদিন ব্যাপক ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দু’টি বাংলাদেশের উত্তরের সীমান্ত লাগোয়া।
যে প্রধান নদ-নদীগুলোর কারণে দেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে, সেগুলোর বেশ কয়েকটি এই রাজ্য দু’টির পাহাড়ি ঢলেই ফুলে ফেঁপে একাকার হয়ে যায়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ৯ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ (দার্জিলিং), সিকিম, আসাম ও মেঘালয়ে ব্যাপক বর্ষণ হবে। এক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতে পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে ২০০ মিলিমিটার, যেখানে ৯০ মিলিমিটার বর্ষণ হলে অতিভারী বর্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদ-নদী-ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, সুরমা, কুশিয়ারা, যমুনা, মেঘনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ভারতের ওইসব এলাকায় ভারী বর্ষণের কারণে।
জুনের শেষেও যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, তা ভারতে সে সময় সাতদিন ধরে অতিবৃষ্টির কারণে। বর্তমানে সে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে সম্প্রতি জানিয়েছে, জুনের চেয়েও জুলাই মাসে বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বেশি বর্ষণের কারণে।
ইতোমধ্যে দেশেও বৃষ্টিপাত বাড়তে শুরু করেছে। আগামী পাঁচদিনে আরো বাড়ার আভাস রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (৮ জুলাই) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ৫৮ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
ইইউডি/এএ