এ নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৮৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালীর বেড়েছে ৪১ সেন্টিমিটার।
সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির।
জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়েন নিম্নাঞ্চলগুলো এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এমন অবস্থায় কৃষক তাদের অপরিপক্ক পাট কাটতে শুরু করে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয় এবং অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নেয় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৗশলী মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭.২৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে ১৫ দশমিক ৫৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর পানি কমতে শুরু করে আবারও ৪১ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, গেলো এক সপ্তাহে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি পর্যায়ক্রমে কমতে শুরু করে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
কেইউএ/এএটি