ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

গ্রাহকের মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি মওকুফ, দুই পরিবার পেল সহায়তা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
গ্রাহকের মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি মওকুফ, দুই পরিবার পেল সহায়তা

কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকের মৃত্যুতে অবশিষ্ট কিস্তি মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ওই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’র আওতায় এই সুবিধা পেয়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষক মুকুল মিয়া ও সদর উপজেলার সবজি বিক্রেতা সুলতান মিয়ার পরিবার। এই দুই গ্রাহকের মৃত্যুতে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। ইতোমধ্যেই ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য কিনে একই ধরনের সুরক্ষা সহায়তা পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা ও তাদের পরিবার।

গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার পুলেরঘাট বাজার ওয়ালটন প্লাজায় মৃত দুই ক্রেতার পরিবারের সদস্যদের হাতে ৫০ হাজার টাকার দুটি চেক তুলে দেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। প্রয়াত মুকুল মিয়ার পক্ষে চেক গ্রহণ করেন তার স্ত্রী রাবেয়া ও সুলতান মিয়ার পক্ষে তার স্ত্রী সাজেদা খাতুন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন, পাকুন্দিয়া থানার ওসি সুমন মিয়া, পুলেরঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাফরুল ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ওয়ালটনের ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ জোনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মেহেদী হাসান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার আতিকুর রহমান, ওয়ালটন প্লাজা পুলেরঘাট শাখার ম্যানেজার রাসেল আহমেদ প্রমুখ।

গত ১৩ ডিসেম্বর লক্ষিয়া গ্রামের কৃষক মুকুল মিয়া পুলেরঘাট ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে প্রিমোআরটেন মডেলের একটি স্মার্টফোন কেনেন। তিনি ২৪ ডিসেম্বর স্ট্রোকে মারা যান। আর গত বছরের ২৬ অক্টোবর দরবারপুর গ্রামের সবজি বিক্রেতা সুলতান মিয়া একই প্লাজা থেকে ওয়ালটনের প্রিমোএনফাইভ স্মার্টফোন কেনেন। ৩০ ডিসেম্বর তিনিও স্ট্রোকে মারা যান।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে অকাল সাগরে পড়ে দুই পরিবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ অনুযায়ী মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা। যেখান থেকে কিস্তির পাওনা টাকা সম্পূর্ণ মওকুফ হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা প্রদানের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি চালু করেছে শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন। কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির আওতায় যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এই নীতির আওতায় পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ ও তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ ওয়ালটনের কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা সহায়তা নীতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা কার্যক্রম ওয়ালটনের অনেকগুলো চমৎকার উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম। ক্রেতার পরিবারের জন্য এমন সুবিধা কেবল ওয়ালটনই দিতে পারে। এর ফলে ওয়ালটনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।

ওয়ালটন ক্রেতাদের দেওয়া এই সুবিধার বিষয়ে জানতেন না মুকুল মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ ১০ সদস্যের পরিবারের বোঝা এখন তার ওপর। অসহায় অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানোয় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে কিস্তির টাকা আর পরিশোধ করা লাগছে না জেনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন সুলতান মিয়ার স্ত্রী সাজেদা খাতুন। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা পাওয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এই সহায়তার টাকা সংসারের কাজে ব্যয় করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।