ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে কনকর্ডের নতুন প্ল্যান্ট

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদনে কনকর্ডের নতুন প্ল্যান্ট

ঢাকা: পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী ইট, ব্লক, টাইলস উৎপাদনে কনকর্ডের নতুন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নির্মাণে কনকর্ড অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। পোড়ামাটির ইটের ব্যবহার বন্ধে ১৯৯৮ সালে কনকর্ডই বাংলাদেশে প্রথম গড়ে তোলে পরিবেশবান্ধব ইট, ব্লক, টাইলস নির্মাণের কারখানা।

বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ আমাদের এ দেশ। পরিবেশ ও বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ পোড়ামাটির ইট। পোড়ামাটির ইট ব্যবহারের ফলে বায়ু দূষণ হয় সর্বোচ্চ মাত্রায়, যার ফলে বায়ু দূষণে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বের প্রথম।

পরিবেশের এ দূষণ রোধে, বাংলাদেশে কনকর্ডই ২৫ বছর আগে প্রথম গ্রিন ব্রিক উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করে। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণ কাঠামোতে শতভাগ গ্রিন ব্রিক ব্যবহারের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা পরিবেশ দূষণ রোধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

কনকর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উদ্দীনের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বারিধারা থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে গড়ে ওঠে পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি বাংলাদেশের প্রথম দূষণমুক্ত স্যাটেলাইট নগরী লেকসিটি কনকর্ড। এখানে উল্লেখ্য যে, বিগত ২৫ বছরে কনকর্ডের কোনো প্রকল্পে পোড়ামাটির ইট ব্যবহার করা হয়নি।  

কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে বানানো ইট পোড়াতে কয়লা ও গাছ ব্যবহার করায় পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পোড়া ইটের বিকল্প পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়ায় পরিবেশের ক্ষতি বন্ধে নতুন আশা সৃষ্টি করেছে। দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কনকর্ড স্থাপন করেছে তাদের পঞ্চম গ্রিন ব্লক/ ব্রিস্ক প্লান্ট।

কনকর্ড-এর প্রথম ও দ্বিতীয় প্ল্যান্টে, স্পেনের তৈরি পোয়েটোস পি সেভেন্টি/নাইনটি নামক দুটি মেশিন বসানো হয় যার মাধ্যমে প্রতিটি প্ল্যান্টে প্রতি আট ঘণ্টায় ৫৯ হাজার ৫২০ করে মোট একলাখ ১৯ হাজার ৪০টি নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব। তৃতীয় প্ল্যান্টে জার্মানি থেকে ডিজাইন করা টি-টেন নামক একটি মেশিন যোগ করা হয় যা প্রতি আট ঘণ্টায় ২৬ হাজার ৮০টি নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসার নামক মেশিনটি কনকর্ড-এর চতুর্থ প্ল্যান্টে বসানো হয় যা প্রতি আট ঘণ্টায় ১২ হাজার নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করতে পারে।

পঞ্চম এ প্ল্যান্টটিতে প্রতি আট ঘণ্টায় গড়ে সর্বমোট তৈরি হবে ৭৪ হাজার পিস নির্মাণ সামগ্রী। জার্মানিতে প্রস্তুতকৃত জেনিথ জেড এন- নাইন হানড্রেড সি নামক নতুন এ মেশিনটির মাধ্যমে কনকর্ড-এর সক্ষমতা ৩০-৪০% বৃদ্ধি পাবে। উন্নতমানের এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এ প্ল্যান্টটি নির্মাণ শিল্পে এক অনন্যমাত্রা যোগ করবে সেই সঙ্গে পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দেশে কৃষিজমির মাটির ব্যবহার ও বায়ু দূষণ কমাতে সরকারি নির্মাণকাজে ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে পরিবেশবান্ধব ব্লক/ ইট সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে কনকর্ড এ প্ল্যানটি স্থাপন করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণে কনকর্ড-এর মতো উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। এ খাতে ট্যাক্স আর আমদানি শুল্ক মওকুফ করলে পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করা সম্ভব। সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করলে আরও উদ্যোক্তারা এ কাজে এগিয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, পরিবেশন দূষণ ও সংরক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কনকর্ডকে জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ প্রদান করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩
পিআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।