ঢাকা: জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) স্বীকৃত বার্জার’স পেইন্টার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন প্রোগ্রামটির প্রথম ব্যাচের পেইন্টাররা।
এ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বার্জার পিটিআইয়ে সম্প্রতি এক ট্রেনিং ক্যাম্পের করা হয়।
পেইন্টারদের দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক শ্রম-বাজারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলঃ মাসব্যাপী ক্লাস এবং লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেইন্টাররা যেমন সরাসরি প্রশিক্ষণ ও সনদপত্র লাভ করেছেন, তেমনি এ প্রশিক্ষণ তাদের কর্মসংস্থান প্রাপ্তির সুযোগকেও সম্প্রসারিত করবে। পিটিআই এনএসডিএ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, পেইন্টস খাতে বার্জারই একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা এনএসডিএ’র সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০ জন অংশ নেন। এর মধ্যে ১৫ জন সার্টিফায়েড পেইন্টার হিসেবে প্রশিক্ষণটি শেষ করতে সক্ষম হন। প্রথম ব্যাচের পেইন্টার হিসেবে তারা বার্জারের পিটিআই থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষের লেভেল ২ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। পিটিআই থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি পেইন্টার প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট নিয়েছেন।
এনএসডিএ’র এ প্রশিক্ষণ ও সার্টফিকেট দেওয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছেঃ শ্রমিকদের দক্ষতা এবং কাজের মান বৃদ্ধি, নির্ভুল কাজ নিশ্চিত করা, পণ্য সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করা, যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি ঘটানো এবং কাজের ক্ষেত্রে যেন নীতিমালা ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলা হয় তা নিশ্চিত করা। এসব দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে পেইন্টাররা দেশ ও দেশের বাইরের শ্রম-বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন।
পেইন্ট ও ডেকোরেশন খাতে নলেজ হাব হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এ খাতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পেইন্টারদের দক্ষতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বার্জার। পাশাপাশি পেশাগত দায় ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে পিটিআই ও এনএসডিএর সার্টিফিকেটের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এর মধ্যে রয়েছেঃ ফার্নিচার খাতের জন্য লেকার পলিশিং, কার পেইন্টিং, হাই-বিল্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোটিং, মেরিন কোটিং ও পাউডার কোটিং।
এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা তানজিন আলম বলেন, পেইন্টস খাতে বার্জারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে এসেছে। পেইন্টারদের আরও দক্ষ করতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের দক্ষতার মানোন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে একযোগে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এএটি