ঢাকা: আবারও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০১টি বাড়ি ভর্তি পণ্য ফ্রি পেলেন একজন ক্রেতা। তিনি হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার গৃহিণী মনোয়ারা বেগম।
প্রসঙ্গত, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে দেশব্যাপী চলছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে নানান সুবিধা। সিজন-১৭তে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন কিনে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার কিংবা নিশ্চিত উপহার পাচ্ছেন ক্রেতারা।
সৌভাগ্যবান ক্রেতা মনোয়ারা ছাড়াও এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন আরও তিনজন ক্রেতা। তারা হলেন যশোর সদরের ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মোশারফ হোসেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নজরুল ইসলাম এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলার জসিম উদ্দিন।
গত ৬ এপ্রিল জুড়ী উপজেলার ভবানিগঞ্জ বাজারে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শো-রুম ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজে মনোয়ারা বেগমের হাতে ১০১টি পণ্য তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম এবং আরিফুল আম্বিয়া।
সেসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ মজিব মাহবুব, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন, সিলেট অঞ্চলে ওয়ালটনের জোনাল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান, এরিয়া ম্যানেজার সরওয়ার জাহান এবং ভাই ভাই শো-রুমের মালিক হুমায়ুন কবীরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
জানা গেছে সৌভাগ্যবান ক্রেতা মনোয়ারা বেগম ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের বাসিন্দা। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে ৪ সদস্যের পরিবার তার। স্বামী হারা হয়েছেন অনেক আগেই। প্রবাসে থাকা ছেলের আয়ে চলে সংসার। বাসায় ব্যবহারের জন্য গত ২৫ মার্চ তিনি ওয়ালটন শো-রুম থেকে ১৬৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। কেনার পর তার ফোন নম্বরসহ পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরই ১০১টি পণ্য ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। শো-রুম থেকেও ফোন করে বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করা হয়।
ট্রাকভর্তি করে পণ্যগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন তিনি। ফ্রি পাওয়া ১০১টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন, সিলিং, প্যাডেস্টাল, টর্নেডো ও রিচার্জেবল ফ্যান, রাইস কুকার ইত্যাদি।
সৌভাগ্যক্রমে এতোগুলো পণ্য ফ্রি পাওয়ায় মহাখুশি মনোয়ারা বেগম। ঈদের আগে এতোসব পণ্য ঘরে তুলতে পেরে তার পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। আবেগাপ্লুত মনোয়ারা জানান, ফ্রি পাওয়া এসব পণ্য নিজেরা ব্যবহার করবেন। ক্রেতাকে দেওয়া কথা রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় পণ্য কিনতে আহ্বান জানিয়ে ওয়ালটনের ডিএমডি হুমায়ুন কবীর বলেন, দেশের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে লাভ হয় সাধারণ মানুষের। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দিয়ে যদি বিদেশি পণ্য কেনা হয়, তাহলে সেই টাকা আবার বিদেশেই চলে যায়। এতে লাভবান হয় বিদেশিরা। তাই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে সবাইকে দেশে তৈরি পণ্য কেনা ও ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থান যেমন বাড়ে, তেমনই বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
আরআইএস