ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ৫১০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
মূলত ব্যবসা সম্প্রসারণ, সেবা পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে আরো গতি আনতে এই অর্থ খরচ করবে নগদ।
একইসঙ্গে পুরনো কিছু ঋণও এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এই বন্ড বিক্রির অনুমতি পায়। বন্ডের প্রকৃতি হস্তান্তরযোগ্য, রিডিমেবল এবং অরূপান্তরযোগ্য। এর ফলে নগদ লিমিটেড খুব কম সময়ে লাভে আসবে বলে আশা করছেন এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নগদের হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মর্যাদা পাওয়া নগদের গ্রাহক সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৭ কোটি পেরিয়ে গেছে। এত বড় সংখ্যক গ্রাহকের জন্য ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, চলমান ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও একই সঙ্গে প্রচারের কাজে বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ খরচ করা হবে। ’
এর মাধ্যমে দেশে ছাপা টাকার ব্যববহার কমিয়ে ক্যাশলেস লেনদেনে গ্রাহকদের সামনে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করার জন্যে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এই জিরো কুপন বন্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং কুপনের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। জিরো কুপন বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিটি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে লাভে আসবে বলে তারা আশা করছে।
২০১৯ সালে সেবা চালু করার পর একে একে নানান উদ্ভাবন দিয়ে বাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে নগদ। একই সঙ্গে তাদের উদ্ভাবণ আর্থিক খাতের বাজারে জিটালাইজেশন নিশ্চিত করেছে।
প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত করায় নগদ এখন দৈনিক ১২শ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।
এর আগে গত ১৭ মে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামে নতুন একটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এএটি