ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

গুলশানে চালু হলো গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
গুলশানে চালু হলো গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে নিজেদের বহুল প্রত্যাশিত অত্যাধুনিক ‘গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ উন্মোচনে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে গ্রামীণফোন। গ্রাহক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা এবং তাদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদানে বিস্তৃত পরিসরের গবেষণা, বিশ্লেষণ ও উদ্ভাবনী বাস্তবায়নের ফলশ্রুতিতে নতুন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করল গ্রামীণফোন।



গ্রাহকদের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিকে কেন্দ্রে রেখে বিগত ২৫ বছর ধরে গ্রামীণফোন সব উদ্যোগ গ্রহণ করে এসেছে। নতুন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারটিও এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন এবং এ সেন্টারে কার্যকরী উপায়ে তাদের সেবা সংক্রান্ত চাহিদা পূরণ করা হবে।

গ্রাহকদের লাইনে অপেক্ষা করার ঝামেলা কমাতে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সেবাদানে গ্রামীণফোন সেন্টারে রয়েছে স্পেশালাইজড জোন, যেখানে গ্রাহক সেবাদানে থাকবে নিবেদিত টিম। গ্রামীণফোনের সুদূরপ্রসারী কৌশলের মাধ্যমে নতুন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের পরিবেশ সর্বোচ্চ সেবাদানের উপযুক্ত করে তৈরি করেছে। যেখান থেকে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা প্রিমিয়াম সেবা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ চমৎকার সেবার অভিজ্ঞতা নেবেন।

সোমবার (২২ মে) চালু হওয়া রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে গ্রাহকদের যাত্রাকে সমৃদ্ধ করতে রয়েছে উদ্ভাবনী সব সুবিধা।  
এখানে রয়েছে কুইক সার্ভিস পোডিয়াম, এর মাধ্যমে দেওয়া হবে দ্রুত ও কার্যকরী সেবা; ফলশ্রুতিতে কমবে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের অপেক্ষা ও সেবা দেওয়ার  সময়। আরও থাকছে এক্সক্লুসিভ কনসালটেটিভ সেলস ও সার্ভিস এরিয়া, যেখানে গ্রাহকরা বিশেষজ্ঞ সহায়তা পাবেন।

এছাড়াও গ্রামীণফোনের প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য এখানে রয়েছে লাউঞ্জ। গ্রামীণফোনের এ লাউঞ্জে মূল্যবান গ্রাহক, যারা গ্রামীণফোনের সঙ্গে অনেকদিন আছেন, তারা পাবেন বিশেষায়িত সেবা। এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে আরও রয়েছে ডিভাইস ও এনগেজমেন্ট জোন, যে জোনে গ্রাহকরা ফিউচার-ফিট প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে তাদের ডিজিটাল লাইফস্টাইল সমৃদ্ধ করতে পারবেন। পাশাপাশি  এ সেন্টারে থাকবে অ্যাপল, স্যামসাং, শাওমি, অপো, ভিভো, রিয়েলমি, ফাসট্র্যাক ও অ্যামাজফিট সহ  স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিস্তৃত পরিসরের অনুমোদিত পণ্য।
 
সরকারি ছুটির দিন ব্যাতীত সপ্তাহে প্রতিদিন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সেন্টারকে ঘিরে গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং ফারহা নাজ জামানের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।  

এ প্যানেল আলোচনায় ‘ফিউচার অব টেলকো রিটেইল’র প্রতিপাদ্যে নিজেদের মত ব্যক্ত করেন শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, অপো’র ইমার্জিং চ্যানেল ডিপার্টমেন্টের হেড অব সেলস হালিম প্যান, সেলএক্সট্রা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিব আরাফাত এবং গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসএস) ডিভিশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।

স্মার্টফোন ও অপারেটরদের মধ্যে পার্টনারশিপের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য স্মার্টফোনের ব্যবহার, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির ‘সঠিক’ সমন্বয়ে গ্রাহকের জীবনে এর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, গ্রাহকদের জীবানাচরণের বিবর্তন, আরও বেশি ডিজিটাল লাইফস্টাইলের দিকে যাত্রা এবং আইওটি’র বিকাশ ও ব্যবহারকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বক্তারা।  

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং গ্রাহকদের পরিবর্তিত লাইফস্টাইলের ফলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে যাত্রা, কার্যকরী ও ঝামেলাবিহীন প্রক্রিয়া ও সেবা, ব্যক্তি ও অভিজ্ঞতাকেন্দ্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে স্মার্ট ও ভবিষ্যতমুখী ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা বাড়াতে গ্রামীণফোনের ভূমিকা এবং এ বিষয়গুলো কীভাবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিটিআরসি’র সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসএস) ডিভিশনের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের এই যাত্রায় মোবাইল যোগাযোগ সেবার ভবিষ্যৎ, প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের পরিবর্তিত ডিজিটাল চাহিদা পূরণের ওপর নির্ভর করে। আমার বিশ্বাস এ ধরনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার সে প্রয়োজন পূরণে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে, যেখানে গ্রাহকরা সহজেই সব প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন। আমি গ্রামীণফোনকে কৃতজ্ঞতা জানাই গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য। এ নতুন সংযোজনের পাশাপাশি উদ্ভাবনীয় ও প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচনে সচেষ্ট ভূমিকা রাখার জন্য গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার উন্মোচন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ফিউচার ফিট রিটেইল শপ তৈরির ক্ষেত্রে এটা প্রথম পদক্ষেপ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে এটা এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। আমাদের গ্রাহকদের পরিবর্তিত ডিজিটাল চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে তাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবাদানে গ্রামীণফোনের দৃঢ় অঙ্গীকারের অনন্য উদাহরণ নতুন এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। উদ্ভাবন, স্বাচ্ছন্দ্য ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের লক্ষ্য গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে তাদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার বাড়াতে, ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে, তরুণদের দক্ষতার উন্নয়নে এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে আমরা ইকোসিস্টেম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

২৭ মার্চ এ সেন্টারের সফট লঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী এক মাসে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অপেক্ষার সময় গড়ে ৮.৩৩ মিনিট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৪.০৫ মিনিটে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় নতুন গ্রামীণফোন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার গ্রাহক সেবা অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এ নিয়ে গ্রাহকরাও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তারা জানান, তাদের সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতায় এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার তৈরিতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আর্কিটেকচারাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে গ্রামীণফোন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।