ঢাকা: বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচারের (বিএইএ) ১০ম সাইকেল প্রকল্পের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী হয়।
প্রদর্শনীটি আগামী ৬ জুন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, প্রেসিডেন্ট, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস রূপালী চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ‘বিএইএ উৎকর্ষের ২০ বছর’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- স্থপতি খান মো. মোস্তফা খালিদ, বিজয়ী, বিএইএ ১০ম সাইকেল; স্থপতি ইকবাল হাবিব, বিজয়ী, বিএইএ ১০ম সাইকেল; স্থপতি জিশান ফুয়াদ চৌধুরী, বিজয়ী, বিএইএ ১০ম সাইকেল; স্থপতি নওশাদ ই হক, জুরার, বিএইএ ১০ম সাইকেল; স্থপতি নবী নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক আইএবি; মহসিন হাবিব চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড।
আলোচনায় মডারেটর হিসেবে পরিচালনা করেছেন স্থপতি মো. আলী নকি, সহ-সভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) আইএবি ও সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর স্থপতি কাজী এম আরিফ।
আলোচনা সভাটি আইএবির বার্জার সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ১০ম পুরস্কার প্রতিযোগিতার অন্যান্য বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী স্থপতি, জুরি বোর্ডের সদস্য ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে ১০ম বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মোট ১১৮টি স্থাপত্য প্রদর্শন করা হয়েছিল।
বার্জার স্থাপত্যের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট/উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সঙ্গে অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার (বিএইএ) উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
এক নজরে বিএইএ’র ১০ম সাইকেল
বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচারের ১০ম সাইকেলের পুরস্কার দেওয়া অনুষ্ঠানটি শহরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে ৫টি স্থাপত্য প্রকল্প তাদের অসামান্য গুণমান ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রশংসিত হয়েছিল। সেরা স্থাপত্য প্রকল্পের জন্য মোট ৫টি পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিজয়ীরা হলেন- স্থপতি জিশান ফুয়াদ চৌধুরী (জ্যানাস আর্কিটেক্টস) এর নির' এ ভ্যাকেশন হাউস; স্থপতি মো ইশতিয়াক জহির ও স্থপতি ইকবাল হাবিব (ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটেড) এর বন এর বাড়ি (এ ফরেস্ট রিট্রিট); স্থপতি খান মো. মুস্তাফা খালিদ (ভিস্তারা আর্কিটেক্টস প্রাইভেট লিমিটেড) এর র্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া। স্টুডিও মরফোজেনেসিস লিমিটেডের স্থপতি শাহলা করিম কবির এবং স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরীর দ্য স্টেটসম্যান, চর্চা স্থপতিজোগের স্থপতি রুম্মান মাশরুর চৌধুরী ও স্থপতি শুভ্রা দাসের হাইড্রোপড ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার হার্ভেস্টিং অ্যান্ড প্লেস্কেপ ফ্যাসিলিটিজ ইন হিল ট্র্যাক্টস- প্রশংসা পেয়েছে।
এরই মধ্যে স্থাপত্যের ক্ষেত্রে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য বার্জার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। বিশিষ্ট স্থপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংগঠনিক মোবাশ্বের হোসেন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তার অসাধারণ কাজের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
আরবি