ঢাকা: গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘পাঠাও প্রেজেন্টস সোশিও ক্যাম্প সিজন এগারো পাওয়ার্ড বাই লিরা ইমপোর্টস এর’ প্রথম ওয়ার্কশপ।
দেশব্যাপী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। সেসব সামাজিক সমস্যা সমাধানে সবার অনাগ্রহ চোখে পড়ার মতোই। সমস্যাকে সমস্যার স্তরে না রেখে তা সমাধানে যেন আমাদের তরুণ প্রজন্ম আগ্রহী হয় সেই লক্ষ্যেই ‘সোশিও ক্যাম্প’ এর পথচলা। একে একে ১০টি আসর শেষে এবার ১১তম আসরে পদার্পণ করেছে এ অনন্য প্রতিযোগিতাটি। যেখানে সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন নতুন আইডিয়া, পদ্ধতি, বা উপায় উদ্ভাবনের নেশায় মত্ত হবে পুরোটা সময়জুড়ে।
সব প্রতিযোগীদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় আয়োজনের প্রথম রাউন্ডের ওয়ার্কশপ। সেখানে প্রেজেন্টেশন হ্যাকস নিয়ে চমৎকার আলোকপাত করেন ইশমাম চৌধুরী, কেইস সল্ভিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে উপযোগী আলোচনা করেন সামিদ রাজ্জাক।
আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই আমাদের দেশের সামনের দিনের পথচলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের জন্য ‘সোশিও ক্যাম্প’ হচ্ছে একটি ঘুম ভাঙানি গানের মতো। আমাদের সমাজে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। সেগুলো সমাধানে দেশের তরুণদেরই জাগ্রত হতে হবে। আমাদের বিশ্বাস সোশিও ক্যাম্পের সব প্রতিযোগী এখান থেকে একটি ভিন্ন সত্তা নিয়ে ফিরবে। ব্যক্ত করেন আয়োজক ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট মো. মাহমুদুল ইসলাম।
অন্যতম অতিথি ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, এ প্রোগ্রামটি একটু ভিন্ন রকমের। এখানে সবার মেধা, সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটছে সামাজিক নানাবিধ বৈষম্য ও সমস্যা সমাধানে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় এ ধরনের প্রোগ্রামকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। আমি আশা রাখছি, আজকের প্রথম ওয়ার্কশপসহ আগামী সব রাউন্ডে সবচেয়ে যোগ্য দলগুলোই এগিয়ে যাবে ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।
উপস্থিত সবাইকে প্রথম রাউন্ডের নিয়মাবলি জানিয়ে ও যেকোনো তথ্যের জন্য ক্লাবটির ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
আরবি