ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান

ঢাকা: গ্রামীণফোনের তিন বিভাগে নতুন প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার (সিএইচআরও) হিসেবে সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন ও হেড অব কমিউনিকেশনস হিসেবে শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

গত ১০ সেপ্টেম্বর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামীণফোনে যোগদান করেন। সৈয়দা তাহিয়া হোসেন ও নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন। অন্যদিকে এক্সটেন্ডেড ম্যানেজমেন্ট টিমের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।  

নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনে যোগ দেওয়া নতুন সিএইচআরও, সিআইও ও হেড অব কমিউনিকেশনসকে স্বাগত জানাই। প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মানবসম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি ও করপোরেট কমিউনিকেশনসের ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিএইচআরও হিসেবে তাহিয়ার যোগদান আমাদের জন্য একটি  মাইলফলক। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি ঘরে তুলতে, কর্মী সংযোগকে সামনের এগিয়ে নিতে ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবেশকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে তাহিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  একইভাবে ভবিষ্যতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিরঞ্জনের দক্ষতা আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে ডিজিটাল রূপান্তর, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে পারব। আর একটি অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি বিনির্মাণে এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের করপোরেট ন্যারেটিভকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিকেশনস টিমে শারফুদ্দিনের যোগদান অনন্য ভূমিকা রাখবে।  

সৈয়দা তাহিয়া হোসেন তার ওপর আস্থা রাখার জন্য গ্রামীনফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করতে এবং প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের বৈচিত্র্যময় টিমের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে আর এমন সময়ে গ্রামীণফোনে সিএইচআরও হিসেবে যোগদান করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার বিশ্বাস, প্রযুক্তি-নির্ভর মানবসম্পদ চর্চার সঙ্গে যুক্ত হতে পারার মাধ্যমে কেবল গ্রামীণফোনে নয়, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমার দেশের জন্যও অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে।

নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, গ্রামীণফোনের টেলকো থেকে টেলকোটেক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্রামীণফোনের ডিজিটাল-নেক্সট কৌশল ও দক্ষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতার বৈপ্লবিক উন্নয়নে আমার ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উদ্ভাবন, প্রতিনিয়ত শেখা এবং নিরীক্ষার চর্চার মাধ্যমে গ্রামীণফোনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে প্রত্যাশী। গ্রামীণফোনে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য ও চর্চার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য মূলত স্মার্ট বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা।

শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, গ্রামীণফোনে যোগ দিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। কোটি মানুষের কাছে গ্রামীণফোনের গল্প তুলে ধরার কাজটি ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক, আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গ্রামীণফোনের যাত্রায় কার্যকরী ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।