পশ্চিমা কিছু দেশের ইফতার সংস্কৃতি ও বৈচিত্র-
ব্রিটেনের ইফতার যেমনইফতারিতে ব্রিটিশ রোজাদাররা খেজুর, ফল, স্যুপ, জুস, রুটি, ডিম, মাংস, চা-কফি গ্রহণ করেন। ব্রিটিশ মুসলিমসমাজে বিশ লাখেরও বেশি জনগোষ্ঠী রয়েছে।
সর্বপ্রথম ইয়েমেন থেকে মুসলমানরা ব্রিটেনে গিয়েছিল। সে সময় ইয়েমেনিরা ব্রিটিশদের বাণিজ্য জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করতো। সেই সুবাদেই তারা ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছিল। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে তারা ব্রিটেনে সর্বপ্রথম মসজিদ তৈরি করেছিল। তবে ব্রিটেনের মুসলমানদের বেশিরভাগই এসেছেন ভারত উপমহাদেশ থেকে। এ কারণে ব্রিটেনের ইসলামের রং ও রূপ অনেকটাই ভারতীয় এবং সেখানকার বেশিরভাগ মুসলমানই হানাফি মাজহাবের অনুসারী।
ইতালিইতালির মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মুসলিম। এই অল্পসংখ্যক মুসলমান রমজানে খুব আগ্রহ নিয়ে রোজাব্রত পালন করেন। ইফতারিতে তারা বার্গার জাতীয় খাদ্য, নানাবিধ ফল যেমন- মাল্টা, আপেল, আঙ্গুর, বিভিন্ন ফলের রস খান। সাহরিতে বার্গার ও বার্গার জাতীয় খাদ্য বেশি পছন্দ করেন। ইতালির পূর্বাঞ্চলে মুসলিম কমিউনিটিগুলোতে ইফতারের সময় বেশ ভিড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া রোজাদারদের জন্য পার্সেলের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে ইফতার ও সাহরি সামগ্রী প্রেরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
আমেরিকাআমেরিকাতে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে খেজুর, খোরমা, সালাদ, পনির, রুটি, ডিম, মাংস, ইয়াগার্ট, হট বিনস, স্যুপ, চা ইত্যাদি থাকে। রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে ইফতার পার্টি প্রথম শুরু করছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এটা বর্তমানে একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে ৫৩টি দেশের মুসলিম প্রতিনিধিদেরকে আমন্ত্রণ করে ইফতার পার্টি আয়োজন করেন। অনেক অমুসলিম এ পবিত্র বরকতময় মাসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হচ্ছেন।
কানাডাকানাডার রাজধানী অটোয়ায় সর্বাধিক মুসলমান বসবাস করেন। তাদের সংখ্যাটা প্রায় ষাট হাজার। অটোয়া ছাড়াও সাসকেচুয়ান, অল্টারিও, সিনেটোবা, টরেন্টো, কুইবেক রাজ্যগুলোতে মুসলমানরা বসবাস করেন।
রমজানে ইফতার পার্টির আয়োজন চলে মহাসমারোহে। প্রতি সপ্তাহের একদিন অটোয়া ইসলামিক সেন্টারের ইফতার পার্টিতে দেশ বিদেশের অসংখ্য মুসলমান হাজির হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘দ্যা মুসলিম স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন’ ইফতার পার্টির আয়োজন করে। ইফতারিতে খেজুর, খোরমা, পনির, সালাদ, ফল, সুপ, জুস, রুটি, ডিম, মাংস, চা-কফি ইত্যাদি থাকে।
অস্ট্রেলিয়াখ্রিস্টান অধ্যুষিত দেশটিতে সবাই শিক্ষিত। মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ মুসলমান। এখানকার মুসলমানগণ ইফতারিতে স্যান্ডউইচ, পনির, মাখন, দুধ জাতীয় খাবার, নানাবিধ ফল ও ফলের রস খেয়ে থাকেন। সেহরিতে বার্গার খেয়ে তারা রোজা রাখেন।
দক্ষিণ কোরিয়া
এশিয়া মহাদেশের চীন ও জাপানের মধ্যস্থানে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া দেশটির রাজধানী হলো সিউল। দেশটিতে বেশিরভাগ অধিবাসী হচ্ছে খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ। মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ মুসলমান। ইফতারিতে এখানকার মুসলমানরা নুডলস, স্যুপ, ফলের রস, বিভিন্ন প্রকারের ফলফলাদি খেয়ে থাকেন। সাহরিতে খান মাংস ও রুটি।
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এমএমইউ