ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

‘নকলে সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
‘নকলে সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি’

ঢাকা: নকলমুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, নকলে সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী  বলেন, নকলমুক্ত পরীক্ষার জন্য যে আইন আছে, নকল প্রতিরোধে সে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক নকলে সহযোগিতা করলে, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি তাদের পেতে হবে। যারা নকলে সহযোগিতা করবেন তারা কোনোভাবে আর শিক্ষক থাকতে পারবেন না।

আগামী ৩ এপ্রিল সারাদেশে এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ( বিএম/ভোকেশনাল) ও ডিআইবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এবার সর্বমোট ১২ লাখ ১৮ হাজার ৩২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এর মধ্যে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন এবং আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।

এছাড়া এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় ১ লাখ ২ হাজার ১৩২ জন এবং ডিআইবিএস পরীক্ষায় ৪ হাজার ৭৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১৫ সালে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন। এবার এ সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন।

এদিকে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে ২ হাজার ৪৫২টি। পরীক্ষাকেন্দ্র গত বছরের তুলনায় ৩৩টি বেড়েছে। এ বছর মোট ৮ হাজার ৫৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গত বছরে তুলনায় এবার ২২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নকলমুক্ত পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, যারা নকলে সহযোগিতা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি দু’টি আইনের কথাও উল্লেখ করে সে অনুসারে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জোর দিয়ে বলেন।

এ দু’টি আইনের মধ্যে একটি ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন-১৯৮০’ এর ৪ ধারা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাগজ বা প্রশ্নপত্র কোনো উপায়ে ফাঁস বা বিতরণ করার অপরাধে ৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

অপরটি ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬’ এর ৫৭ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটান বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়- তাহলে এ ধরনের অপরাধের জন্য ৭ বছর থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
এসকে/পিসি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।