ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধার সাক্ষ্য

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধার সাক্ষ্য

ঢাকা: ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজিব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য’র বিরুদ্ধে গৃহকর্মী হ্যাপীকে নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী।

বুধবার (১৭ আগস্ট) তিনি ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ সাক্ষ্য দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের জবানবন্দি গ্রহণের পর শাহাদাতের আইনজীবী কাজী নজীব উল্লাহ হিরু তাকে জেরা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি আলী আসগর স্বপন সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান। তিনি আরও জানান, এর আগে ভিকটিম হ্যাপী মামলার সাক্ষ্য দিলেও তা অসমাপ্ত রয়েছে।

মামলার আসামি ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪ (২) খ ধারায় শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাজধানীর কালশী থেকে নির্যাতনে মারাত্মক আহত অবস্থায় হ্যাপিকে উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। তবে ওই দিন বিকেলে শাহাদাত মিরপুর থানায় তার বাসার গৃহকর্মী হারিয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

রাতে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্যকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।

ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক আহমেদ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর দিনগত রাতে মালিবাগের পাবনা গলিতে তার বাবার বাড়ি থেকে নিত্যকে গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। আদালতের অনুমোদনক্রমে তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ১ ডিসেম্বর নিত্যকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।

অন্যদিকে শাহাদাত গত বছরের ৫ অক্টোবর সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। এ আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে ০৮ অক্টোবর থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে ০৮ ডিসেম্বর শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
এমআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।