ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার বিষয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৬
সিটিসেলের তরঙ্গ খুলে দেওয়ার বিষয়ে আদেশ বৃহস্পতিবার

ঢাকা: তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) আদেশের দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
 
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শুনানিতে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, এ পাওনার টাকা খুবই সুনির্দিষ্ট। লাইসেন্স ফি, তরঙ্গ ফি- এগুলো নিয়ে বিরোধের অবকাশ নাই। বিটিআরসি যে ফি নির্ধারণ করেছে, সে অনুসারে অন্য মোবাইল অপারেটররাও টাকা দিয়ে যাচ্ছে।

শুনানিতে আদালত দুইপক্ষের মধ্যে পাওনা-দেনা নিয়ে বিরোধ হলে সেটা কিভাবে সমাধান হবে, তা বৃহস্পতিবার জানাতে আইনজীবীদের বলেছেন।

পরে সিটিসেলের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আপিল বিভাগের আগের রায়ে বলা হয়েছিলো, দাবিকৃত টাকার যে অংশ আমরা স্বীকার করি, তার দুই তৃতীয়াংশ সিটিসেলকে জমা দিতে হবে। আমরা (সিটিসেল) সেই আদেশ প্রতিপালন করে দুই-তৃতীংয়াংশ টাকা দেই। এ টাকা দেওয়ার পরও তরঙ্গ স্থগিত ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদেরকে বলা হয়, আমরা যেন টেলিকমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট ব্যবহার না করি’।

সিটিসেলের আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, আদালতের আদেশ আমরা মেনেছি। বিটিআরসি থেকে কাজটা করা ঠিক হয়নি। বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে বক্তব্য ছিলো, দুই তৃতীয়াংশ মানে দাবিকৃত অর্থের দুই তৃতীয়াংশ’।

পাওনা টাকা না দেওয়ায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি’র এ সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর আবেদন করে সিটিসেল।

এ আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

২৪ অক্টোবর সিটিসেলের আইনজীবীরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বিটিআরসি ও এনবিআরের ১৪৪ কোটি টাকা শোধ করা হয়েছে। এরপরও সিটিসেলের তরঙ্গ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।     
 
গত ১৭ আগস্ট একমাসের শো’কজ নোটিশ দিয়ে সিটিসেলকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। পৌনে ৫শ’ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ, অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিলো।

এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শো’কজ নোটিশের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগ বিটিআরসি’র পাওনা পরিশোধে সিটিসেলকে দু’মাস সময় দেন। এর মধ্যে প্রথম মাসে তিন ভাগের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় মাসে বাকি টাকা দেওয়ার আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।