গত বছরের ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন আজিজুল ইসলাম। কিন্তু সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ না হওয়ায় সেদিন জেরা পিছিয়ে গিয়েছিল।
আজিজুল ঘটনার দিন গুলির শব্দ শুনে এক বিদেশি নাগরিককে দৌড়ে যেতে দেখেন। পরে গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় তিনি শুয়ে পড়েন। তখন অনেক লোকের জমায়েত হয়। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন যে, ওই বিদেশির পেটে একটি ছিদ্র এবং সেটি দিয়ে রক্ত পড়ছিল।
এ মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ৭০ জন।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এমএ কাইয়ুমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। আসামি কাইয়ুম কমিশনার ও সোহেল ভাঙারি পলাতক আছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্য ৬ আসামি হলেন, এমএ কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আরেফিন রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল।
তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গত বছরের ২৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
একজন বিদেশিকে হত্যা করে দেশে-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে গভর্নর হাউসের সীমানা প্রাচীরের বাইরের ফুটপাতে তাবেলা সিজারকে (৫১) হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমআই/এএসআর