এর আগেও গত ৪ জুলাই দুই সপ্তাহের জন্য এই রায়কে স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন একই বেঞ্চ। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুযোগ আরও দুই সপ্তাহ থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজীম।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) এর কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১১ অক্টোবর রিট আবেদন করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৎপরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ের পর হাসান এম এস আজিম বলেন, রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এটি অসাংবিধানিক ও মাসদার হোসেন মামলার (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) রায়ের পরিপন্থী। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে আবেদনকারীদের দেওয়া সাজাও বাতিল করেছেন। এর মধ্যে একজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। তার টাকাও ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার রায় হয়েছে।
গত ১৪ মে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ২১ মে আপিল বিভাগ এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ান। ৪ জুলাই আবেদনগুলো কার্যতালিকায় আসার পর আরও দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৭
ইএস/আরআই