ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

সূত্রাপরের অপু খুনে দুইজনের ফাঁসির দণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৮
সূত্রাপরের অপু খুনে দুইজনের ফাঁসির দণ্ড বহাল

ঢাকা: রাজধানীর সূত্রাপুরের আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। 

তবে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে দুইজনকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত।


 
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট  বেঞ্চ সোমবার (০৭ মে) এ রায় দেন।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। তিনি বলেন, দুইজনের ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছেন তথা ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করেছেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চারজনের  মধ্যে দুইজনকে  খালাস দিয়েছেন। দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিষয়েমন্তব্য করেননি আদালত।
 
খালাসপ্রাপ্ত দুইজনের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন মনিরুজ্জামান রুবেল।
 
২০১২ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ওই রায়ে আতিক আহমেদ শিপলু নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।  

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিন। হাইকোর্ট এই দুইজনের দণ্ড বহাল রেখেছেন।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাহবুব আলম, মোহাম্মদ আলী মুন্না, ইফতেখার বেগ ঝলক ও বিপ্লব চন্দ্র দাস।  

এদের মধ্যে হাইকোর্ট মুন্না ও ঝলককে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে বলছে, এ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন। বাকি দুই আসামি মাহবুব আলম ও বিপ্লব পলাতক।  

তাই তাদের বিষয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আসামিরা যেহেতু আদালতের সামনে আসেনি তাই তাদের দণ্ডের বিষয়ে আদালত মন্তব্য করেননি। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তাদের যাবজ্জীবন দণ্ডই বহাল রয়েছে।
 
আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মনসুরুল হক চৌধুরী ও ফজলুল হক খান ফরিদ।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানার ৪/১ ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে সন্ত্রাসীরা অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিনের ছেলে নিহত অপুর ভাই আরিফুর রহমান খান সেতুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারতে মারতে স্থানীয় সিলভারডেল স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সেতুর ভাই আশিকুর রহমান খান অপু ও আতিকুর রহমান খান বাপ্পী সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের এলাপাতাড়ি গুলি করে। এরপর তারা তিন ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে গুলি করতে করতে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।  

পরে স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত অবস্থায় তিনভাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুই ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।  

এ ঘটনায় নিহতের বোন আতিয়া খান কেয়া বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাকসুদুর রহমান ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট ওই সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামিরা ১২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।  

২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।