ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আদালত

শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
শরীয়তপুরে স্ত্রী হত্যা দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শেফালী আক্তারকে (২০) হত্যার দায়ে স্বামী ফারুক খলিফাকে (৩০) মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান এ দণ্ডাদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পশ্চিম কোয়ারপুর গ্রামের জলিল খলিফার ছেলে ফারুক খলিফার সঙ্গে একই গ্রামের আবুল হোসেন খানের মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়।

বিয়ের প্রায় এক বছর পর ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে যৌতুকের জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় আঘাত করেন ফারুক। এতে গুরুতর জখম হয় শেফালী।

এ ঘটনার পরদিন ২৭ ডিসেম্বর শেফালীর বাবা আবুল হোসেন খান বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ফারুক খলিফা, তার বাবা জলিল খলিফা ও মা ফুলমতি বেগমকে আসামি করে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১১ মাস চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শেফালী মারা গেলে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

দীর্ঘ সাত বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলার রায় দেন বিচারক। এ রায়ে মামলার ১ নম্বর আসামি ফারুকে ফাঁসি ও তার বাবা জলিল ও মা ফুলমতিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

পিপি মির্জা হজরত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সাত বছর মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ১ নম্বর আসামি ফারুক খলিফা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি দুই আসামি ফারুকের বাবা জলিল ও মা ফুলমতিকে খালাস  দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।