ভালো শুরু পেয়েও হতাশার আউট, বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন দৃশ্য নিয়মিতই। মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম ইনিংসেও এর ব্যতিক্রম হলো না।
বেশ কয়েকজন ব্যাটারের আউটের ধরণও ছিল হতাশার। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানই তাদের একজন। উমেশ যাদবকে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারার হাতে। ৩৯ বলে ১৬ রান করার পর তার এমন আউটে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের এমন মানসিক ভ্রান্তি হতাশার। স্পিনার ও পেসারদের বিপক্ষে সাকিব এগিয়ে আসছিল, তাদের লেন্থ বদলে দিতে। বোলারদের লেংথ নিয়ে সে চিন্তিত ছিল, তাই চাচ্ছিল বদলাতে। লাঞ্চের ঠিক পরে বোলাররাও বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। যদি সে ক্রিজে থাকতো, তাহলে হয়তো কিছু বাজে বল পেতো। এটা ছিল তার সিদ্ধান্ত। কোচ হিসেবে আমার কাছে খেলোয়াড়দের এমন ভুল করা হতাশার। ’
শুধু সাকিবই নন, আরও কয়েকজন ব্যাটার এমনভাবে আউট হয়েছেন। লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ; তালিকাটাও বেশ লম্বা। ভালো শুরুর পরও টানতে পারছিলেন না তারা।
ব্যাটারদের সেট হয়ে আউট হওয়া নিয়ে জেমি বলেছেন, ‘এটা খুবই হতাশাজনক। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। বলেছি যখন তুমি সেট হবে, থাকতে হবে। যখন শুরু পাবে, বড় রান নিশ্চিত করতে হবে। এটা (উইকেট) কিছুটা চট্টগ্রামের মতো, তিন-চারজন ছেলে ২০ এর ঘরে আউট হয়ে গেছে। বাকিরা ১৫ বা ১৬তে, কেবল একজন আমাদের কাজটা করেছে। ’
‘আমরা এমন করলে ম্যাচ জেতার মতো রান পাবো না। সেট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিকেটাররা আবারও মানসিক ভ্রান্তিতে পড়েছে। বল টার্ন করছে, কিন্তু পেসাররা তেমন কিছু পাচ্ছে না। উমেশকে পাঁচ উইকেট (আসলে চার) দিয়ে আশা খুবই হতাশাজনক। ’
বাংলাদেশ শুরু পেয়েছিল বেশ ভালো। ২১৩ রানে ৫ উইকেট থেকে শেষ অবধি অলআউট হয়ে যায় ২২৭ রানে। ১৪ রানে হারায় পাঁচ উইকেট। এ নিয়ে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন জেমি সিডন্স। তিনি বলছেন, সহজেই তিনশ রান করা সম্ভব ছিল বাংলাদেশের।
জেমি বলেন, ‘আমাদের সহজেই ৩০০ রান করা উচিত ছিল। শেষদিকে ১৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। এই উইকেটগুলোতে আরও ৪০-৫০ রান ছিল, বিশেষত যখন তাদের তিনজনই ব্যাটার। আমরা ৭০ রান মতো পিছিয়ে আছি। কাল আমাদের খুব ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হবে। আশা করি দিনশেষে আমরা টিকে থাকবো। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এমএইচবি/এএইচএস