আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। অথচ ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষমতা দখলের পর জানিয়েছিল, নারী শিক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনে তারা।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। তার মতে, সন্তানকে অশিক্ষিত নারীর ওপর ছেড়ে দিলে সমাজের কোনো উন্নতি হবে না। ফেসবুকে এই লেগ স্পিনার লেখেছেন, ‘হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে নারী নিয়েই সমাজের অর্ধেকটা গঠিত। নারীরা সমাজের ভিত্তি। ’
‘নারী একজন মা, একজন স্ত্রী, একজন বোন, একজন মেয়ে ও সকল প্রতিযোগিতার একজন প্রশিক্ষক। তিনি একজন রক্ষক। এটাই (মা) প্রথম স্কুল যেখানে মানুষের ব্যক্তিত্বের গঠন ও বিকাশ হয়। যেই সমাজ তার সন্তানকে অশিক্ষিত ও অজ্ঞ নারীর হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে, সেই সন্তানদের থেকে ন্যায্য কিছুর প্রত্যাশা করা অসম্ভব। ’
প্রতিবাদ জানিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীও। সাবেক এই অধিনায়ক ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাদের সকলের একমত হতে যে, নারী শিক্ষার প্রয়োজন আছে সমাজ ও এই দেশের। কারণ নারী ও পুরষ উভয়ের শিক্ষা এবং প্রচেষ্টায় দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এএইচএস