ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘অপ্রতিরোধ্য’ সিলেটের টানা পঞ্চম জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
‘অপ্রতিরোধ্য’ সিলেটের টানা পঞ্চম জয় ছবি: উজ্জ্বল ধর

শুরুটা মন্দ হয়নি। তবে মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় ১২৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে।

ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল তারা। আসরে এটি তাদের টানা পঞ্চম জয়।

অল্প রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচটি নিজেদের পাল্লায় প্রায় টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকা। কিন্তু শেষ দিকে থিসারা পেরেরা ও আকবর আলীর টর্নেডো ইনিংসে জয়ের স্বপ্ন মাটিতে মিশে যায় তাদের। সৌম্য সরকারকে ছক্কা হাঁকিয়ে চার বল হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করেন পেরেরা। ১১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। অপর প্রান্তে ৫ বলে ১ ছক্কায় ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন আকবর।   

ইনজুরির কারণে ইনফর্ম তৌহিদ হৃদয় নেই এই ম্যাচে। কিন্তু তাই বলে সিলেটের মিডল অর্ডার নড়বরে হয়ে পড়বে তা কে জানত। ওপেনিংয়ে ২০ বল খেলে মাত্র ১২ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্তে অবশ্য রানের চাকা সচল রাখেন মোহাম্মদ হারিস। তবে শান্তর মতো তাকেও সাজঘরে ফিরতে হয় নবম ওভারে। ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। ৬১ রানের ভেতর দুই ওপেনারকে বিদায় করে ঢাকাকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক নাসির হোসেন।

পরের ওভারের প্রথম বলে জাকির হাসানকে তুলে নেন আরাফাত সানি। এরপর ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে ধীরে সুস্থে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটে থিতু হতে সময় নিলেও ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারেননি তারা। তাসকিন আহমেদের রিভার্স সুইং করা ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে পথে হাঁটেন ২৫ বলে ২৭ রান করা মুশফিক। রান আউটের শিকার হন ইমাদ। তবে বাকি সময়টা সানন্দেই কাটিয়ে দেন আকবর ও পেরেরা।

এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। সিলেটের বোলিং তোপে শুরু থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই গোল্ডেন ডাক উপহার দেন নিজেকে হারিয়ে খোঁজা সৌম্য সরকার। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আসরে প্রথমবার খেলার সুযোগ পাওয়া রুবেল হোসেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দিলশান মুনাভীরা ও  রবিন দাসকে একযোগে ফেরান পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম।  

এই ধাক্কার পর রানের গতি বাড়েনি ঢাকার। থিতু হয়েও ২৮ বলে ২৭ রান করে নাজমুল অপুর বলে বোল্ড হন উসমান গণি। মোহাম্মদ মিঠুনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইমাদের শিকার হওয়ার আগে ২৩ বলে ১৫ রান করেন মিঠুন। শেষ দিকে নাসির হোসেন ও আরিফুল হকের ব্যাটে চড়ে কোনোমতে শতরান পেরোয় ঢাকা। ৩১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রান করেন নাসির। ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রান করে ফেরেন আরিফুল। সিলেটের হয়ে ইমাদ সর্বোচ্চ ৩ টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। এছাড়া রুবেল, নাজমুল ও মোহাম্মদ আমির নেন একটি করে উইকেট।  

পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে সিলেট। অন্যদিকে চার ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে ঢাকা।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা ডমিনেটর্স: ১২৮/৭ (গণি ২৭, নাসির ৩৯, আরিফুল ২০; ইমাদ ৩/২০, রুবেল ১/২৫, নাজমুল ১/২৭)

সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৩৪/৫ (হারিস ৪৪, মুশফিক ২৭, পেরেরা ২১*, আকবর ১০*; নাসির ২/১৯, তাসকিন ১/১২, সানি ১/১৯)

ফল: সিলেট ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: ইমাদ ওয়াসিম।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।