ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইতিহাস গড়ে খুলনাকে হারালো কুমিল্লা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
ইতিহাস গড়ে খুলনাকে হারালো কুমিল্লা ছবি : শোয়েব মিথুন

সিলেট থেকে : স্বাগতিক দল নেই, তবুও গ্যালারিতে উপস্থিতি কমেনি সিলেটে। দর্শকদের হতাশও হতে হলো না অবশ্য।

রান বন্যার এক ম্যাচের সাক্ষীই হলেন তারা। শুরুতে ঝড় তুললেন শাই হোপ-তামিম ইকবাল। কিন্তু যথেষ্ট হলো না তাও। মোহাম্মদ রিজওয়ানের মারকুটে ব্যাটিংয়ের পর জনাথন চার্লসের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।  

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এটি। এর আগে ২০৭ রান তাড়া করে ঢাকা প্লাটুনকে হারায় খুলনা টাইগার্স।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় খুলনা টাইগার্স। ১ রান করে এই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলকে আর পেছন ফিরে তাকাতে দেননি তামিম ও হোপ। ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকা হোপ ২৭ বলে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। আর তামিমের লেগেছে ৪৫ বল।  

ফিফটি পূর্ণ করে ঝড়ো ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। তবে শেষ ওভারে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। মাত্র পাঁচ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। যাওয়ার আগে তিনি ৬১ বলে ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ১১ চারে। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ক্যাচ দিলে ভাঙে ১৮৬ রানের জুটি।  

পাঁচ বল হাতে থাকা অবস্থায় আজম খান ৪ বলে করেন অপরাজিত ১২ রান। শাই হোপকে অপরাজিত থাকতে হয় ৯১ রানেই। ৫৫ বলের এই ইনিংসে তিনি হাঁকান ৭ ছক্কা ও ৫ চার।  

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শফিকুল ইসলামের প্রথম বলে চার মারেন লিটন দাস। কিন্তু পরের বলে হাতে চোট পান। ব্যথার যন্ত্রণা সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় লিটনকে। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ভালো কিছু এনে দিতে পারেননি ইমরুল কায়েস।  

৩ বলে ৪ রান করে কুমিল্লা অধিনায়ক আউট হন শফিকুল ইসলামের বলে। এরপরই কুমিল্লার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনাথন চার্লস। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ব্যাটার ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৭৩ রান করে আউট হন।  

তার বিদায়ের পর জ্বলে উঠে জনাথন চার্লসের ব্যাট। ইনিংসের শুরুর দিকে কিছুটা ধীরস্থির ছিলেন তিনি। ৩১ বল থেকে আসে কেবল ৩৪ রান। এরপরই ঝড় তোলার শুরু হয় চার্লসের। প্রথমে আমাদ বাটের ওভারে ২২ রান ও নাহিদুলের ওভারে ২৪ রান তিনি। শেষ অবধি এই ব্যাটার পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা।  

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক তার। আগেরটিও ছিল বিপিএলেই, রংপুর রাইডার্সের হয়ে। আজম খান, উসমান খান ও ইফতেখার আহমেদের পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি পেলেন চার্লস। ৫ চার ও ১১ ছক্কায় ৫৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বড় রান তাড়ায় কুমিল্লা জয় পায় প্রায় দুই ওভার হাতে রেখেই!

বাংলাদেশ সময় : ২২২১ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।