ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুশফিকের ইনিংস নিয়ে লিটন, ‘এমন কিছু আগে দেখিনি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
মুশফিকের ইনিংস নিয়ে লিটন, ‘এমন কিছু আগে দেখিনি’

সিলেট থেকে : মুশফিকুর রহিম খেলতে নেমেছিলেন ইনিংসের ৩৩তম ওভারে, ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে। এরপর তিনি খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস।

১৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস শেষে মুশফিক অপরাজিত থেকেছেন ঠিক ১০০ রানে। ৬০ বলে করা তার সেঞ্চুরি এখন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম।  

মুশফিক ছাড়িয়ে গেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলে করা সেঞ্চুরিকে। পরে অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে হয়ে গেছে পরিত্যক্ত। ৩৩তম ওভারের পর ব্যাটিংয় নেমে এটাই বাংলাদেশের হয়ে কারো প্রথম সেঞ্চুরি। সংবাদ সম্মেলনে আসা লিটন দাসের মুখে এ নিয়ে ছিল ভূয়সী প্রশংসা।  

তিনি বলছিলেন, ‘নাহ, ফিলিংস তো অনেক ভালো (মুশফিকের ইনিংস)। সত্যি কথা বলতে আমি যতদিন খেলছি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার শেষদিকে গিয়ে এমন সেঞ্চুরি করে নাই। যখন দল থেকে কেউ এরকম একটা সেঞ্চুরি করে, দেখলে অনেক ভালো লাগে। সিনিয়ররা কেউ করলে তো আরও ভালো লাগে। ’ 

‘মুশফিক ভাইয়ের শুধু আজকের ইনিংস না, শেষ ম্যাচের ইনিংসটা যদি দেখেন আমার মনে হয় অসাধারণ ছিল। যদিও রান বেশি না, ৪০ বা এর কিছু বেশি ছিল; এটা কিন্তু বিগ মার্জিন তৈরি করে দেয় ৩০০ প্লাস করতে। আজকের ইনিংসটা তো ডিফারেন্ট বল গেম করে দিয়েছে মুশফিক ভাইয়ের ইনিংসটা। ম্যাচটা হলে অবশ্যই ভালো লাগতো। কিন্তু এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ’

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ গড়েছে রেকর্ড। শনিবার প্রথম ওয়ানডেতে করা ৩৩৮ ছিল এই ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। একদিন পরই ওই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে তামিম ইকবালের দল। এবার করেছে ৩৪৯ রান। লিটন বলছেন, শেষ দুই ম্যাচে পরিকল্পনা মতো ব্যাট করতে পারছেন তারা।

তিনি বলেছেন, ‘শেষ দুই ম্যাচ ধরে আমরা যে পরিকল্পনা করছি, যে লক্ষ্য আমাদের ব্যাটিংয়ে; সম্পূর্ণ সফল বলবো। পরের ম্যাচটা ডিফারেন্ট বল গেম হতে পারে। আমরা পরে ব্যাটিংও করতে পারি। আবার আগে ব্যাটিং করলে যে আজকে যেমন তারা খুব ভালো বল করছিল। আমি আর তামিম ভাই প্রথম ১০ ওভারে উইকেট দেইনি। যদিও বা ১১ নম্বর ওভারে গিয়ে উইকেট পড়েছে, রান আউট। ’

‘ওই সময় উইকেট পড়লে ডিফারেন্ট বল গেম হতো। আমাদের রান হয়তো খুব বেশি ছিল না ৪০-৪৫ এর মতো ছিল। এটা অনেক ইফিক্টেভ ইনিংস ছিল আপনি যদি দেখেন, ওই সময় যদি উইকেট পড়ে যেতো। যদি আপনি তাড়াতাড়ি উইকেট হারাতেন, হাতে উইকেট কম থাকতো; এরকম ক্যামিও ইনিংস খেলতে পারতেন না। ’ 

বাংলাদেশ সময় : ২২০৩ ঘণ্টা, ২০ মার্চ, ২০২৩
এমএইচবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।