বড় রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল কিছুটা। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফিরেছিলেন অল্পতেই, বড় রান করতে পারেননি সাকিব আল হাসান-লিটন দাসও।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভারে ১২৭ রান করে তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বড় রান করতে নেমে লিটন দাসকে নিয়ে সাবধানী শুরুর চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। জশ লিটলের প্রথম ওভার থেকে কেবল এক রান নেয় বাংলাদেশ, যার চারটি বল খেলেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তামিমের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি আয়ারল্যান্ড।
ওই ওভার থেকে বাংলাদেশ ছয় রান তুলতে পারে। পরে তৃতীয় ওভার থেকে নেয় তিন রান। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যান তামিম। মার্ক অ্যাডাইয়ারের হাফ ভলিতে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। ১৩ বল খেলে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন কেবল ৭ রান।
এরপর লিটন দাসকে দেখে স্বাচ্ছন্দ্যই মনে হচ্ছিল কিছুটা। কিন্তু ২ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ২১ বলে ২১ রান করে গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। পরে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে উঠে নাজমুল হোসেন শান্তর। ২৭ বলে ২৬ রান করে কার্টিস ক্যাম্পারের বলে সাকিব আউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। এরপর ক্রিজে আসেন তাওহীদ হৃদয়।
শান্তর সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে বেশ। দুজন মিলে তুলোধোনা শুরু করেন আয়ারল্যান্ডের বোলারদের। জর্জ ডকরেলের বল তুলে মারতে গিয়ে আউট হন হৃদয়। ততক্ষণে ১০২ বলে ১৩১ রানের দারুণ এক জুটি হয়ে গেছে। ৫ চার ও ৩ ছক্কার দারুণ ইনিংসে ৫৮ বলে ৬৮ রান করেন হৃদয়।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৩ ঘণ্টা, ১২ মে, ২০২৩
এমএইচবি