তাড়া করতে নেমে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। ১২ ওভার শেষ হওয়ার পর জয় থেকে তখনো ১০৬ রান দূরে ছিল তারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তোলে হায়দরাবাদ। ফিফটি ছুঁতে পারেননি কোনো ব্যাটারই। ২৯ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন হাইনরিখ ক্লাসেন। এছাড়া বলে ২৫ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আব্দুল সামাদ। লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে দুটি উইকেট অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়ার। এছাড়া একটি করে শিকার যুদবির সিং, আভেশ খান, যশ ঠাকুর ও অমিত মিশ্রার।
জবাবে প্রথম দুই ওভারে কেবল চার রান তোলে লক্ষ্ণৌ। প্রথম ১০ বল খেলে রানের খাতা খুলতেই পারেননি কাইল মেয়ার্স। পরে ১৪ বলে ২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ভালো শুরুর পর ১৯ বলে ২৯ রানে থামেন কুইন্টন ডি কক। তার বিদায়ের পর রানের গতি কমতে থাকায় জয় অনেকটা কঠিনই মনে হচ্ছিল লক্ষ্ণৌর। তবে অভিষেক শর্মার করা ১৬ তম ওভারে ৫ ছক্কায় ৩১ রান নিয়ে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন স্টইনিস ও পুরান।
স্টইনিস অবশ্য সেই ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে ২৫ বলে ৪০ রান করে যাওয়ার আগে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি, বাকি দুটি মারেন পুরান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লক্ষ্ণৌকে। ১৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৪৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন পুরান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রেরাক মানকাড়। স্টইনিসের সঙ্গে ৭৩ ও পুরানের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে ডানহাতি এই ব্যাটারের হাতে।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে এসেছে লক্ষ্ণৌ। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে রয়েছে হায়দরাবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এএইচএস