ম্যাচের আগে শুনিয়ে গিয়েছিলেন আশার বাণী। মিরপুর টেস্টের পরদিন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কণ্ঠে ছিল তৃপ্তি।
এটিকে স্রেফ একটি টেস্ট জয় হিসেবে দেখতে রাজি নন হাথুরুসিংহে। এই ম্যাচে ঘাসের উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ২৬ মাস পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুমিনুল হক। এছাড়া দুই ইনিংসে যথাক্রমে চার উইকেট করে নেন এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
এ ম্যাচের জয় নিয়ে রোববার মিরপুরে হাথুরু বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কি না জানি না, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি, এটি শুধুমাত্র একটি টেস্ট জয় নয়, তার চেয়েও বিশেষ কিছু। আমি এটা দিয়ে বুঝিয়েছি, আমরা যেভাবে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েছি, সব কিছু মিলিয়েই এমন আর আগে কখনও হয়নি। ’
‘আমরা সবুজ ও গতিময় উইকেট তৈরি করেছি। আমার মতে, এই ধরনের উইকেটে খেলে জেতা বিরাট ব্যাপার। আমরা অনেক মানসিক বাধা পার করেছি। কারণ ম্যাচের আগে আমরা কেমন করব, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। আমরা এখানে সাধারণত ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেট খেলি। ’
মিরপুরে ঘাসের উইকেটের দেখা খুব একটা মেলে না। বাংলাদেশের ব্যাটাররা রানের ফোয়ারা ছোটালেও পেসাররাও দারুণ করেছেন। দুই ইনিংসে আফগানদের ১৪৬ ও ১১৫ রানে অলআউট করার বড় কৃতিত্ব তাদেরই। এ নিয়েও সন্তুষ্টি ছিল হাথুরুর কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘সন্তুষ্টির জায়গা হচ্ছে, গতিময় উইকেটে পেসাররা গা ভাসিয়ে দেয়নি। ওরা যেভাবে বল করেছে, খুবই ভালো ছিল। খুব পেশাদারি বোলিং। ওরা বাউন্সার শুধু করার জন্য করেনি। বেশিরভাগ উইকেট এসেছে ফ্রন্ট ফুটে। এসব ছোট ছোট জিনিস পেসারদের পরিণত বোধের উদাহরণ। ওরা অনেক দূর পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমি খুশি। ’
‘যদি কন্ডিশন সাহায্য করে, তাহলে অবশ্যই এভাবে ব্যাটিং করব। আমরা সেভাবেই অনুশীলন করেছি। ছেলেদেরও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে এভাবে খেলার জন্য। খেলাটা তো মূলত রানের। কন্ডিশন যদি কঠিন হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ী ব্যাটিং করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম