ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘ক্রিকেট খেলেছি বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য, কতটা পেরেছি জানি না’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
‘ক্রিকেট খেলেছি বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য, কতটা পেরেছি জানি না’ ছবি: সোহেল সরওয়ার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা জিম্বাবুয়ের হারারেতে হলেও তামিম ইকবাল প্রথম নজরে আসেন ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ক্যারিবিয়ান দ্বিপপুঞ্জের পোর্ট অফ স্পেন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ সেই জয়ের ম্যাচে খেলেন ৫৫ বলে ৫১ রানের ধুন্ধুমার ইনিংস।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ১৬ বছর রাজত্ব করেছেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার হিসেবে।

চারটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার পর আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছিল, ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে অবসরের ডাক দিলেন তামিম। বিশ্বকাপের আর তিন মাস বাকি, এর মধ্যেই নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।

দীর্ঘদিন ধরেই তার ফর্ম নিয়ে কথা হচ্ছিল, কথা হচ্ছিল ফিটনেস নিয়েও। শতভাগ ফিট না থাকা সত্ত্বেও গতকাল (০৫ জুলাই) আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলেন তিনি। যদিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। কিন্তু কে জানত, এর পরদিনই দেবেন অবসরের ডাক।

বাবার সঙ্গে তামিম।  ছবি: সংগৃহীত

বাবা ইকবাল খানের স্বপ্নটা পূরণ করতেই ক্রিকেটে আসা তামিমের। কতটুকু পেরেছেন তা অবশ্য আন্দাজ করতে পারছেন না। তবে বিদায় বেলায় ধন্যবাদ জানিয়ে দিলেন সবাইকে।

মিনিট দশেকের সংবাদ সম্মেলনে চোখের জলে তামিম বলেন, ‘আমি আবারও বলি ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য। কতটা করতে পেরেছি জানি না। হয়ত আরও অনেককে ধন্যবাদ দেওয়ার ছিল, নাম ভুলে গেলে ক্ষমা চাই। আমার মা, তাকে ভুলব কী করে! আমার ভাই, আমার স্ত্রী, আমার দুই সন্তান। আমার এই যাত্রায় তারা অনেক ভুগেছে, আবার আনন্দের সময়ও ছিল। আমি তাদের ধন্যবাদ দেই। ’ 

অবসর প্রসঙ্গে নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না হোক এটাই তামিমের চাওয়া, “এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নাই। একটাই বলব আমার টপিকটা এখানেই শেষ করে দেন। ‘ইটস এ দ্য এন্ড’। অন্তত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য। এটাকে নিয়ে আর বেশি গুঁতাগুঁতি কইরেন না। আমি সবসময় বলেছি দল সবসময় যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে বড়। দুই ম্যাচ আছে এই সিরিজের, আশা করি দল জিতবে। সবাইকে ধন্যবাদ। ”

উঠতি ক্রিকেটারদের ব্যাপারে তামিম বলেন, ‘আমি একটা অনুরোধ করব, যারা সামনে ক্রিকেট খেলবে যাদের কথা আপনারা (গণমাধ্যম) ভালো লিখবেন, খারাপ লিখবেন যাই হোক। ক্রিকেটে যেন থাকেন। সীমার বাইরে যাবেন না। ভালো খেললে ভাল লিখবেন, খারাপ খেললে সমালোচনা করবেন। আপনারা সবাই বুঝতে পারেন যা মাঝে মাঝে সীমা অতিক্রম হয়ে যায়। যারা ক্রিকেট খেলছে এখন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বছর বিশ্বকাপের জন্য। আমি আশা করি আপনারা দলের সদস্যের মত থাকবেন, সমর্থন দেবেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।