ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গর্বের সেই বোলিং ‘অস্ত্র’ এখন যেন নখদন্তহীন

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
গর্বের সেই বোলিং ‘অস্ত্র’ এখন যেন নখদন্তহীন ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: একটা সময় বাংলাদেশের শক্তির জায়গা ছিল বোলিং ইউনিট। সেই বোলিং আক্রমণ দিয়েই প্রতিপক্ষকে কতবারই না চেপে ধরেছে দলটি।

অল্প রানে বেঁধে ফেলে ম্যাচটা ব্যাটারদের জন্য সহজ করে দেওয়ার কাজটা নিয়মিত করে গেছেন রাজ্জাক, সাকিবরা। সাম্প্রতিককালে তো পেস বোলিং বিপ্লবও ঘটিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু পুচকে আফগানরা দেখিয়ে দিল এই বোলিং আক্রমণ দিয়ে ঘরের মাঠেই টিকা কঠিন। এমন যদি হয় তাহলে বিশ্বকাপে কি হবে?

প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির সুবিধা নিয়ে আফগানরা চেপে ধরেছিল বাংলাদেশকে। ফলাফল ২০০ রানের আগেই গুটিয়ে যায় তামিমের দল। পরে মোস্তাফিজ-তাসকিনরা নিতে পারেননি বৃষ্টির সেই সুবিধা। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো আরও নখদন্তহীন বাংলাদেশের বোলালরা। শেষের ওই নাটকীয় ধ্বস না হলে তো ৪০০ রানের লজ্জ্বাও উঁকি দিচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে চেনা কন্ডিশনে আফগানদের রোখা যাচ্ছে না, বিশ্বকাপের মঞ্চে বড় দলগুলোকে কীভাবে থামাবেন তাসকিন-মোস্তাফিজরা?

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা দাপট দেখিয়েছিলেন। এর আগে নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ও এসেছিল এই পেসারদের হাত ধরে। ঘরে-বাইরে ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে গত কয়েক সিরিজ ধরে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট দলের ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যে পেস বোলিং নিয়ে দল এত আত্মবিশ্বাসী, সেই বোলিং কিনা ওয়ানডে সিরিজে এসে কেমন যেন নির্বিষ।  

টেস্টে তাসকিন, শরিফুল, এবাদতরা আফগান ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিলেও ওয়ানডেতে এসে যেন দেখা যাচ্ছে তার উল্টো চিত্র। গত দুই ম্যাচেই বাংলাদেশি পেস অ্যাটকের বিপক্ষে রান করে চলছেন আফগান ব্যাটাররা।  

বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে তিন পেসার মোট ১৬ ওভার বোলিং করলেও মাত্র নিয়েছে ১ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ফর্ম খরায় ভূগছে তারা। ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে আফগানদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে ওঠে মোস্তাফিজ-এবাদতরা। একাদশে সুযোগ পাওয়া তিন পেসার মিলে করে়ছেন ২৯ ওভার ২ বল। তিন জনে মোট রান দিয়েছেন ১৯১। সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলার হাসান মাহমুদ। তিনি ১০ ওভার বোলিং করে ৭ ইকোনমিতে দিয়েছেন ৭০ রান। এছাড়া মোস্তাফিজ, এবাদতও কম যান নি। দুই জনই দিয়েছেন প্রতি ওভারে গড়ে ছয়ের অধিক রান।

শুধু পেস বোলাররা যে খারাপ করছেন তা নয়, এদিন স্পিনাররাও ছিলেন নির্বিষ। সাকিব, মিরাজ ও শান্ত মিলে ২০.৪ ওভার বল করেছেন। এতে রান দিয়েছেন ১২৭। ইকোনমি বিবেচনায় তুলনামূলক কম রান দিয়েছেন সাকিব। ১০ ওভার বল করে ৫ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন ৫০। মিরাজ ৯ ওভার বোলিং করে সাড়ে ৬ ইকোনমিতে রান দিয়েছেন ৬০।

সামনে এশিয়া কাপ, তারপর বিশ্বকাপ। এশিয়ার কন্ডিশনে দুটি আইসিসি ইভেন্ট হওয়ায় বাংলাদেশ এবার ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে পারে বোলারদের এমন 'উদারতায়'! এদিকে একাধিক ব্যাটারের ফিটনেস আর ফর্মহীনতায় ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা বহুদিন ধরে। সেটির সমাধানের পথ খুঁজতে তো হবেই, এর পাশাপাশি যুক্ত হলো বোলিং।  

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এমআর/টিসি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।