আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফজলহক ফারুকির ফুল লেন্থের বল ঠেকাতে ব্যর্থ হলে বোল্ড হন রনি তালুকদার (৪)। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাস মিলে ২৫ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন। শান্ত ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে শান্তর কনুইয়ে লেগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন শান্ত।
শান্তর পর লিটনও পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটার আফগান পেসার আজমতউল্লাহর বলে এগিয়ে এসে পুল করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বল তার ব্যাটে লেগে সোজা উপরে উঠে মিড-অফের দিকে যায় এবং সেখানে থাকা ফিল্ডার রশিদ খান সহজেই তা তালুবন্দি করেন।
এর আগে শুরুতে বাংলাদেশের বোলাররা চাপে রাখেন আফগানিস্তানের ব্যাটারদের। নিয়মিত তুলে নেন উইকেটও। শেষে এসে একপ্রান্ত আগলে রাখা মোহাম্মদ নবির সঙ্গী হয়ে ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আফগানরা পায় ভালো সংগ্রহ।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের কেউই করতে পারেননি বড় রান। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ৮ রান করে সুইপ করতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর ২ চার ও ১ ছক্কায় ১১ বলে ১৬ রান করা আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। তার স্লোয়ার বলে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। পরের ব্যাটারদেরও খুব একটা থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
তিনে নেমে ৬ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইব্রাহীম জাদরান। এ নিয়ে এবারের সফরে চতুর্থবার শরিফুলের শিকার হলেন এই আফগান ব্যাটার। ৯ বলে ৩ রান করা করিম জানাতকে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপরই বেশ ভালো জুটি পায় আফগানিস্তান। নজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি।
২৩ বলে ২৩ রান করা নাজিবউল্লাহ মিরাজের বলে লিটনকে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। তার বিদায়ের পর আফগানিস্তানের রানের গতি বেড়ে যায়। উইকেটে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন, হাত খোলেন মোহাম্মদ নবিও। টানা তিন ওভারে প্রথম বলে ছক্কা হাঁকায় আফগানরা।
১৯তম ওভারে টানা দুই বলে সাকিবকে ছক্কা মারেন ওমরজাই। ওই ওভারের শেষ বলে অবশ্য তিনি আউট হয়ে যান। তাসকিনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৮ বলে করেন ৩৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নবি শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ বলে করেছেন ৫৪ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এমএইচএম