গত ঈদুল আজহার পর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তাওহীদ হৃদয়। সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে এক হাজার টাকা সালামি নিচ্ছেন, ছবিটি ছিল এমন।
তাওহীদ হৃদয় সেই সাকিবের সঙ্গে জুটি বেধেছেন খেলার মাঠে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটিতেই জয় পায় বাংলাদেশ। একটিতে ম্যাচসেরা হন হৃদয়, আরেকটিতে সাকিব। মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হৃদয়, আসে সালামির প্রসঙ্গটি। কোনো ব্যাটিং টিপসও কি পেয়েছিলেন সেদিন?
হৃদয় বলেন, ‘সালামির সঙ্গে তো ব্যাটিংয়ের কিছু নেই। সালামি শুধু আমাকে একা দেয়নি। ওখানে আমি ছিলাম, শান্ত ভাই ছিলেন, এবাদত ভাই, হাসান ছিল- সবাইকেই দিয়েছেন। শুধু আমারটাই দেখছেন (হাসি)। ঈদের পর দেখা হয়েছে, আমরা ফাজলামো করে বলতেছিলাম, ভাই সালামিটা দেন। তো উনি সালামি দিয়েছেন। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেশ বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানে তারা হারায় ৩ উইকেট। পরে ৩২ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জেতান হৃদয়, হন ম্যাচসেরা। ওই ইনিংস নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
হৃদয় বলেন, ‘ব্যাটার হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো দলের জন্য অবদান রাখা। আর নিজের অবদানে যদি দল জেতে, তাহলে আমার মনে হয় সব ক্রিকেটারেরই অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন ম্যাচ জিতিয়ে আসবেন, ম্যাচ-সেরা হবেন তখন একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে। ’
‘দলের পরিবেশ অনেক ভালো। সবার সঙ্গে সবার বন্ধনটা ভালো। সবাই সবার পাশে থাকে। আর সবচেয়ে মূল বিষয় যেটা আমি অনুভব করি, সবাই সবাইকে পুশ করে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের জন্য যার যে ঘাটতি আছে, যার যে জিনিসটা করা দরকার, আমরা সবাই সবাইকে পুশ করি। আমি মনে করি, এই জিনিসটা একটা দলের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। এই জিনিসগুলোই সামনে আমাদের আরও ভালো করতে সাহায্য করবে। ’
২০২০ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে। দেশের ক্রিকেটে সেটিকেই ভাবা হয় সবচেয়ে বড় অর্জন। ওই দলের ক্রিকেটাররা এখন ভালো করছেন উপরের পর্যায়েও। হৃদয়ও তাদের একজন। কেমন লাগে?
তিনি বলেন, ‘ভালো। আলহামদুলিল্লাহ্। এটা তো নতুন কিছু না। আগেও করেছি, এখনও করছি। আমরা যখন মাঠে থাকি, মাথায় এত কিছু থাকে না। সবাই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস