আগের চার ম্যাচের উইকেট বদলে গেলো এবার। বোলাররা সুবিধা পাননি ততটা।
বুধবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা। এর আগে কখনোই এত রান তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১১ রান তাড়াই সর্বোচ্চ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মারুফা আক্তার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পড়ে তার বল সুইং করে ভেতরে ঢোকে, কিছুই করার ছিল না ব্যাটারের। ১ চারে ১৩ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান প্রিয়া পুনিয়া।
বাংলাদেশকে পরের উইকেটও এনে দেন মারুফা, এবার অবশ্য ফিল্ডারের ভূমিকায়। তার বলে সোজা খেলেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। মারুফার হাত ছুয়ে বল লাগে স্টাম্পে। নন স্ট্রাইকে থাকা ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ক্রিজে ছিলেন না, ৩ চারে ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর হারমানপ্রিত কৌরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ করে আউট হয়ে যান স্মৃতিও। দারুণ এক ডেলেভারিতে তাকে ফেরান তরুণ লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুন। স্মৃতি এগিয়ে আসলেও লেন্থ বুঝতে পারেননি, সুইং করে বল লাগে স্টাম্পে। ৪ চারে ৫৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন স্মৃতি।
জেমাইমা রদ্রিগেজকে নিয়ে এরপর দলকে এগিয়ে নেন হারমানপ্রিত। ৯১ বলে তাদের ৭৩ রানের জুটি অবশ্য ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন হারমান, তখন বিচ্ছেদ হয় তাদের। মাঝে এক উইকেট বিরতি দিয়ে অবশ্য তারা আবারও জুটি গড়েন।
৩৬ বলে ২৫ রান করে হারলিন দেওল আউট হয়ে গেলে ফের ব্যাটিংয়ে নামেন হারমানপ্রিত। পরের জুটিতে ১৫ বলে ২৫ রান করেন দুজন। তাদের এই ঝড়ো জুটিতে রানও বড় হয় ভারতের। ৯ চারে ৭৮ বলে ৮৬ রান করে নাহিদার বলে জেমাইমা স্টাম্পিং হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ চারে ৮৮ বলে ৫২ রান করেন হারমান। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ