সামনে ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২২৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। পরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ১২০ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা। সিরিজ জয়ের চাপেই কি এমন পারফরম্যান্স? ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাহিদা মানতে চান না তেমন কিছু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওই রকম কোনো চাপ নেই। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোচ্ছিলাম। আমাদের এক কথাই ছিল- গত ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, এই ম্যাচও সেভাবে খেলবো। আজকে আমাদের বোলিংটা একটু খারাপ হয়েছে। যার কারণে, (ভারতের) স্কোরটা একটু বড় হয়েছে। ’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ ও প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ খেলেছিল একই উইকেটে। যেখানে বোলাররা সাহায্য পেয়েছেন, রান হয়নি খুব বেশি। দ্বিতীয় ওয়ানডে হয় আলাদা উইকেটে। ভারত রানও তোলে বেশ। উইকেটের কারণে কি কোনো পার্থক্য হয়েছে?
নাহিদা বলেন, ‘আজকের উইকেট একটু ভালো ছিল। আমরা ফল ডাউন করেছি, তাই হেরেছি। যেহেতু আমাদের বোলিংটা শক্তিশালী, তাই ওভাবে আমাদের পরিকল্পনা করা ছিল। আমরা যদি গত ম্যাচের চেয়ে আরেকটু ভালো বল করি, তাহলে হয়তো আমাদের জন্য হয়তো আরেকটু ভালো হবে, আমাদের জন্য সুবিধার হবে। ’
ফারজানা হক পিংকি ও রিতু মণির জুটিতে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎই যেন ঘটে ছন্দপতন। ১৪ রানে নিজেদের শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এর মধ্যে টানা তিন ব্যাটার হন স্ট্যাম্পিং। এ নিয়েও কথা বলতে হয়েছে নাহিদাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা মিডল অর্ডারে ব্যাট করি, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে নিতে পারছি না। এর জন্য শেষের দিকে আমাদের এতগুলো উইকেট পড়ছে। কোচরা আমাদের নিয়ে কাজ করছেন, আমরা শতভাগ দিতে পারছি না। এটা আমাদের ঘাটতি। ’
‘পিংকি আপু আর রিতু আপু যখন ব্যাটিং করছিল, মোমেন্টামটা আমাদের ফেভারে আসছিল। কিন্তু আমরা যারা মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছি, আমি বা রাবেয়া- যারা শেষের দিকে ব্যাটিং করেছি, দায়িত্ব নিতে পারিনি। যার ফলে রান বড় করতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম