জাতীয় দলের ব্যস্ততা নেই। কোনো প্রোগ্রামও চলছে না।
এর মধ্যে তৈরি হলো অদ্ভূত সুন্দর এক দৃশ্যের। জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে ২৯ জুলাই থেকে। এর আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মিরপুরে এসে ক্ষুদে ক্রিকেটারদের দেখে তাদের কিছু বলার ‘লোভ’ সামলাতে পারলেন না তিনি।
বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক সব পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছেন শান্ত। ‘প্রোপার সিস্টেম’ হয়ে আসা অল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের একজন তিনি। তেমন বয়সভিত্তিকে থাকা অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটাররা তাকে পেয়ে হয়ে গেলেন উচ্ছ্বসিত। কিছুক্ষণের জন্য হয়ে গেলেন ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’।
পাশে ছিলেন শান্তর প্রিয় কোচ সোহেল ইসলাম। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের এই কোচ প্রথমে কথা বললেন কিছুক্ষণ। এরপর শান্তও তাদের উদ্দেশে কথা বলেন বেশ লম্বা সময়। তার কথা মন দিয়ে শুনতে দেখা যায় ক্রিকেটারদেরও। পরে এ নিয়ে কথা বলেন সোহেল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এটা তো অবশ্যই। ওরা যে জিনিসগুলো কাজ করছিল, এগুলোর গুরুত্বটা শান্ত বোঝানোর চেষ্টা করছি। এই বয়স থেকে এ জিনিসগুলো করলে উপরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকেবলা করা সহজ হয়। স্কিল ট্রেনিং যখন হয়, তখন অনেক রিপিটেশন থাকে, অনেক সময় এক ঘেয়েমি চলে আসে। এই সময় ওরা যেন মোটিভেট হয়ে ঠিক পথে থাকতে পারে, ফোকাস থাকে এ ব্যাপারেই কথা হচ্ছিল। ’
শান্ত নিজে একটা লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন জাতীয় দলে। বয়সভিত্তিক সব পর্যায়ের পর ‘এ’ দলসহ বিসিবির নানা প্রোগ্রামে ছিলেন তিনি। জাতীয় দলে এসেও কঠিন সময় পাড় করতে হয়েছে তাকে। এখন কি শান্তই তাদের মোটিভেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো পছন্দ?
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তা তো অবশ্যই। এখানে শুধু শান্তর কথা না। মিরাজ, জাকির যারাই আসছে না কেন। সাকিব, এমনকি মাশরাফিরাও অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে আসছে। আমাদের ডেভেলপমেন্টের যে প্রসেস, এটা হচ্ছে প্রথম ধাপ। এখান থেকেই ধীরে ধীরে যেতে থাকে, অনূর্ধ্ব-১৭, ১৯। যাত্রাটা লম্বা সময়ের। এ সময়ে আমরা ওদের নানা ধরনের স্কিল ট্রেনিং করাই। ’
চ্যালেঞ্জ কাপ নামক টুর্নামেন্ট থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব-১৫ ক্যাম্প। ২৬ জন ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেখান থেকে। বছরব্যাপী তাদের অনুশীলন করানো হবে। এরপর বছরের শেষে বিদেশে নিয়ে খেলানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিসিবির।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস