তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন যখন, তখন রাত প্রায় দশটা। চারদিকে অন্ধকারের মাঝে গুছিয়ে আনা স্বপ্ন ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এতদিনের সহ অধিনায়ক লিটন দাস। তার নেতৃত্বে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, খেলেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডে। অন্যজন সাকিব আল হাসান, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তার হাতে। এ দুজনের মধ্যে কে পাবেন নেতৃত্ব? দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় আলোচনা এখন এ নিয়েই।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই পছন্দ বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের। কেন? এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেটীয় ব্রেইনের কারণেই সুজনের কাছে এগিয়ে সাকিব। তবে লিটনকে দায়িত্ব দিলেও বড় কোনো বিষয় হবে না বলে বিশ্বাস তার।
শনিবার মিরপুরে সুজন বলেন, ‘এখন লিটন দাসকে কীভাবে বলবো ও না? ভারতের সঙ্গে সিরিজ জিতেছে। তবুও সাকিব তো অবশ্যই এগিয়ে থাকবে এখানে। সাকিবের মাথা, অধিনায়কত্বে অভিজ্ঞতা সবকিছুতে অনেক বেশি। তারপরও আমি লিটনকে ছোট করতে চাই না। লিটন খুব ভালো কাজ করেছে। কিন্তু তবুও যে দলে সাকিব আছে, সে দলে সাকিবকে দেওয়াটাই...আমার মনে হয়। আমি হলে হয়তো সাকিবের কথা চিন্তা করতাম। ’
‘কিন্তু একই সঙ্গে শান্ত, মিরাজ, লিটন এরা তৈরি হবে। আর্মব্যান্ডটা একদিন ওদের হাতে যাবে। তামিম আজকে করতে চাচ্ছে না, সাকিব হয়তো অবসর নেবে এক সময়, মুশফিক অবসর নেবে। তখন এরাই সিনিয়র ক্রিকেটার হবে। তারপরও বলি লিটনকে দিলে সাকিবের জন্য খুব বড় ইস্যু হবে না। সাকিবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, সাকিবের কাছে এসব মেটারই করে না। সাকিব লিটনকে আরও অনেক বেশি সাহায্য করবে। ’
সুজন আরও বলেন, ‘বোর্ড যদি মনে করে লিটন, তাহলে লিটন দাস। এটা কোনো সমস্যা না। ও যে তৈরি না, এটা বলাও ঠিক হবে না। ক্লাব লেভেলে এতদিন ধরে খেলছে, জাতীয় দলে। ওর অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। শেষ পারফরম্যান্স যদি বলি ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে যেহেতু, বারবার লিটনের কথা আসবে। কিন্তু আমি মনে করি সাকিব এখনও আছে যেহেতু, আমাদের খুব ভালো একটা পছন্দ আছে আসলে। ’
এবারের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের আছে বড় স্বপ্ন। তবে টুর্নামেন্টের ঠিক আগে কিছু অস্বস্তিই সঙ্গী হয়েছে। অবসর নিয়ে আবার ফিরেছেন তামিম। এরপর দিয়েছেন নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা, খেলবেন না এশিয়া কাপে। এসবের কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনাও কি কমেছে?
সুজন বলেন, ‘আমার মা যখন মরেছিল, আমি তখন ১৫ বছর বয়সে ছিলাম। আমি চিন্তা করেছিলাম কীভাবে চলবো। আমি তো মা মরার পরও বেঁচে আছি না? মায়ের থেকে তো বড় কিছু নেই। আমি মনে করি এটা কোনো বড় বিষয় না। বাংলাদেশ এখনও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়েই থাকবে বিশ্বকাপে। অনেক ভালো করবে আমার বিশ্বাস। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস